পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে আরো জোরদার করতে দক্ষিণ জেলার সাচী রামবাড়ি পার্ক বাজারে আইপিএফটির মিছিল ও প্রকাশ্য জনসভা; নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
জোলাইবাড়ি, ত্রিপুরা । ০৪ নভেম্বর ২০২৫ঃ দক্ষিণ ত্রিপুরার জোলাইবাড়ি বিধানসভা এলাকায় আজ আইপিএফটি দলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশাল জনজোয়ার ও প্রকাশ্য জনসভা। পৃথকী তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে আরো জোরদার করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন দল থেকে ৪৭ পরিবারের মোট ১৬৫ জন ভোটার আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন আইপিএফটি দলে।
আজ সকালে মিছিলটি সাচিরাম পাড়া থেকে শুরু হয়ে ৮ নং জাতীয় সড়ক পরিক্রমা করে অবশেষে সাচী রামবাড়ি পার্ক বাজারে এসে এক বিশাল জনসভায় পরিণত হয়। জনসভা শুরুর আগে আইপিএফটি নেতৃত্বরা দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত নেতা স্বর্গীয় এন.সি. দেববর্মার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্পণ করেন এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এরপর শুরু হয় আনুষ্ঠানিক সদস্যপদ গ্রহণ অনুষ্ঠান। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন আইপিএফটি সেন্ট্রাল কমিটির সহ-সভাপতি কৃষ্ণকান্ত জমা দিয়েতিয়া, কেন্দ্রীয় জেনারেল সেক্রেটারি স্বপন দেববর্মা, ইয়ুথ আইপিএফটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মানিক ত্রিপুরা, শান্তির বাজার ডিভিশনাল সভাপতি জ্যোতিলাল রিয়াং, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হরিনাথ ত্রিপুরা, জিতিরাম ত্রিপুরা সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
সভার আলোচনায় আইপিএফটির এজিএস স্বপন দেববর্মা বলেন — “বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের লক্ষ্য শুধু সমতলের উন্নয়ন নয়, এডিসি এলাকার মানুষের আর্থিক মানোন্নয়নও। আইপিএফটি জনগণকে বিভ্রান্ত করে রাজনীতি করে না। যারা ভুল বোঝাবুঝিতে দল ছেড়েছিলেন, তারা আজ পুনরায় দলে ফিরছেন, কারণ মানুষ এখন আবার বিশ্বাস করছে আইপিএফটিকে।”
তিনি আরও বলেন — “চেয়ারে নয়, মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হবে। নিজের স্বার্থে নয়, জনগণ ও দলের স্বার্থে কাজ করার মানসিকতা থাকলেই প্রকৃত আইপিএফটি কর্মী হওয়া সম্ভব।”
আজকের এই জনসভায় আইপিএফটির কর্মী-সমর্থকদের বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। গোটা সাচী রামবাড়ি পার্ক বাজার এলাকা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পৃথকী তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে। দলের নেতৃত্বের দাবি, এই যোগদান প্রমাণ করছে — জনগণ আবার আইপিএফটির প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনছে।








