প্রতিবছরের মতো এবারও দীপাবলি সামনে রেখে আগরতলার জয়নগরের মোম তৈরির কারখানাগুলোয় শুরু হয়েছে রাতদিন চলা কাজ; স্থানীয় ও বাইরের বাজারে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমিকরা।
নিউজ ডেস্কঃ দীপাবলি মানেই আলো, দীপ, রোশনাই আর উজ্জ্বলতা। এই আলোর উৎসব ঘিরে দেশজুড়ে যতটা সাজসজ্জার প্রস্তুতি চলে, ততটাই ব্যস্ততা দেখা যায় সেই আলো জ্বালানোর জন্য অপরিহার্য উপকরণ—মোমবাতি তৈরির পেছনে।

আগরতলার জয়নগর এলাকা বর্তমানে সেই ব্যস্ততার অন্যতম কেন্দ্রস্থল। দীপাবলিকে সামনে রেখে এখানকার একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পভিত্তিক কারখানায় চলছে পুরোদমে মোম তৈরির কাজ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি শ্রমিকদের কাজ থেমে নেই এক মুহূর্তের জন্যও।
কারখানা মালিকদের দাবি, প্রতি বছর দীপাবলির ঠিক আগের মাস থেকেই মোমের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। স্থানীয় বাজার ছাড়াও ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকি রাজ্যের বাইরের দোকানদাররাও অর্ডার দেন আগেই। ফলে সেই চাহিদা মেটাতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন শ্রমিকরা।
এক কারখানার মালিক জানান, ‘‘প্রতি বছর দীপাবলি এলেই আমাদের প্রোডাকশন ৩ থেকে ৪ গুণ বেড়ে যায়। এবারও ব্যতিক্রম নয়। ছোট, মাঝারি এবং বিভিন্ন ডিজাইনের রঙিন মোমবাতির চাহিদা অনেক বেশি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘স্থানীয় যুবকদেরও এই সময় আমরা অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে নিই, যাতে উৎপাদনে গতি আনা যায়।’’
জয়নগরের এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘‘দীপাবলির সময়টা আমাদের জীবিকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় অতিরিক্ত আয় হয়, সংসারে একটু স্বস্তি আসে।’’
উল্লেখ্য, জয়নগর অঞ্চলে বহু বছর ধরেই মোম তৈরির ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠেছে। কম খরচে সহজলভ্য কাঁচামাল ব্যবহার করে মোম তৈরি করে তা স্থানীয় দোকান ও বাজারে সরবরাহ করা হয়। দীপাবলির সময় এই মোমবাতিগুলো হয়ে ওঠে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্যগুলোর একটি।
সামনে দীপাবলি, তাই প্রস্তুতির এখন শেষ মুহূর্ত। জয়নগরের মোম তৈরির কারখানাগুলো যেন দীপাবলির আগে থেকেই আলোকিত হয়ে উঠেছে শ্রমিকদের ঘামে, প্রতিশ্রুতিতে, আর আলো ছড়ানো স্বপ্নে।








