সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সমাজের নানা শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী ‘ঐকতান সর্বজনীন শ্যামা পূজা’ এবছরও রাধাকৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন ডিকে রোড এলাকায় আয়োজন; পূজাকে ঘিরে সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মসূচির প্রস্তুতি তুঙ্গে।
খোয়াই, ত্রিপুরা । ১৭ অক্টোবর ২০২৫ঃ খোয়াই শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুভাষ পার্ক সংলগ্ন রাধাকৃষ্ণ মন্দির এলাকা, এই সময়ে যেন উৎসবের শহর। চারপাশে ব্যস্ততা, আলো, রঙ, ও এক অনন্য উদ্দীপনার আবহ—সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঐকতান সর্বজনীন শ্যামা পূজা।
গত বছরের ন্যায় এ বছরও শহরের ডিকে রোড এলাকায় এই পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এবার পূজার আয়োজন শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুশ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি রূপ নিচ্ছে এক বৃহত্তর সামাজিক-সাংস্কৃতিক মিলনমেলায়।
বিশেষ আকর্ষণের বিষয় হলো, এবছরের পূজার অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন খোয়াই শহরের একঝাঁক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। সমাজের কথা বলা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরার পাশাপাশি, তাঁরা এবারে শ্যামা মায়ের আরাধনায় ব্রতী হয়ে সমাজে সম্প্রীতি, সহযোগিতা ও মানবিকতার বার্তা দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন।
গত বছরের পূজায় যেমন বস্ত্র বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ও সামাজিক সেবার কর্মসূচি পূজাকে ঘিরে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল, এবছরও তেমন কিছু বিশেষ কর্মসূচির আভাস দিয়েছেন আয়োজকেরা। প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। প্রতিমা নির্মাণ থেকে আলোকসজ্জা, মণ্ডপসজ্জা থেকে সাংস্কৃতিক মঞ্চ—all set for a grand celebration.
পূজা কমিটির পক্ষ থেকে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির সম্পাদক শুভঙ্কর দেব, সহ-সম্পাদক পঙ্কজ আচার্য, আহ্বায়ক সত্য রঞ্জন দেব, কোষাধ্যক্ষ মিঠুন আচার্য, সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, ব্যবস্থাপক কালিদাস ভৌমিক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান, শ্যামা পূজা উপলক্ষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে এক আত্মিক বন্ধনের পরিবেশ তৈরি করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য। তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন, শহরের প্রতিটি মানুষ যেন এই পূজার আনন্দে সামিল হন এবং শ্যামা মায়ের আশীর্বাদে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে।
খোয়াই শহরজুড়ে ইতিমধ্যেই পূজাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অন্যরকম উন্মাদনা। মণ্ডপ ঘিরে সাধারণ মানুষের কৌতূহল, ব্যবসায়ীদের সক্রিয় সহযোগিতা, তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, সব মিলিয়ে এবছর ‘ঐকতান’ শ্যামা পূজা যেন হয়ে উঠেছে শহরের মিলনমেলা।
সাংবাদিকদের এমন উদ্যোগ যে শুধুই পূজার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজ গঠনের এক নতুন দিকচিহ্ন—তা বলার অপেক্ষা রাখে না।








