আমবাসায় সিপিআইএম-তিপ্রা মথা ছেড়ে ১৮ জনের যোগদান।
আমবাসা, ২৬শে আগস্ট, ২০২৫: ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শান্তনু সাহা রাজ্যের তরুণ প্রজন্মের কাছে এক পরিচিত মুখ।[1] ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা শান্তনু সাহা সাহসিকতা এবং লড়াকু মনোভাবের জন্য পরিচিত। অতীতে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক হিংসার শিকারও হয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের অক্টোবরে তাঁর উপর হামলার অভিযোগ ওঠে, যার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যজুড়ে সরব হয়েছিল।[2] সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই সময় আগরতলায় থানাও ঘেরাও করা হয়।[2]
শান্তনু সাহার নেতৃত্বে ত্রিপুরায় যুব সংগঠনকে মজবুত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তিনি যুব তৃণমূলের প্রদেশ কমিটি ঘোষণা করেন।[3] তাঁর নেতৃত্বে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের নীতি ও আদর্শকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সমীকরণ ফের একবার বদলের ইঙ্গিত। মঙ্গলবার আমবাসায় এক যোগদান কর্মসূচিতে যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু সাহার হাত ধরে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম এবং তিপ্রা মথা ছেড়ে ১৮ জন সক্রিয় সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধলাই জেলার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আমবাসার যোগদান এবং রাজনৈতিক তাৎপর্য
এদিনের যোগদান কর্মসূচিতে শান্তনু সাহা নবাগত সদস্যদের দলে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসই ত্রিপুরার আসল বিকল্প। বিজেপি সরকারের প্রতি মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে এবং সিপিআইএম বা তিপ্রা মথা মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক রাজনীতিতে আস্থা রাখছেন।”
যে সময়ে এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হলো, তা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে যখন রাজ্যের শাসক দল নিজেদের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরছে, তখন বিরোধী শিবির থেকে তৃণমূলে এই যোগদান নিঃসন্দেহে ঘাসফুল শিবিরকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের যোগদান প্রমাণ করে যে তৃণমূল কংগ্রেস ধীরে ধীরে ত্রিপুরায় নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করছে এবং বিভিন্ন দল থেকে আসা কর্মীদের স্বাগত জানাচ্ছে।
আমবাসার এই যোগদান পর্বের পর শান্তনু সাহা জানান, আগামী দিনেও রাজ্যজুড়ে এই ধরনের যোগদান কর্মসূচি চলবে। তাঁর কথায়, “মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই পারে ত্রিপুরায় শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়ন ফিরিয়ে আনতে। আমরা সাধারণ মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।” এই যোগদান রাজ্যের রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকেই স্পষ্ট করে তুলল।










