পুত্র ও পুত্রবধূর মারাত্মক ড্রাগসের নেশা, উদ্ধারের আশায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অসহায় পিতার আকুল আবেদন।
বামুটিয়া , গান্ধীগ্রাম । ২৩ আগস্ট ২০২৫ঃ বামুটিয়ার গান্ধীগ্রাম সাহা পাড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তি আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, তার ছেলে আগে কোনো ধরনের নেশার সাথে যুক্ত ছিল না। কিন্তু বিয়ের পর তার স্ত্রী, অর্থাৎ ওই ব্যক্তির পুত্রবধূ, নিজের সঙ্গে করে নিয়ে আসে মারাত্মক ড্রাগসের নেশা। ধীরে ধীরে সেই নেশার জালে জড়িয়ে পড়ে তার ছেলেও। গত দেড় বছর ধরে এই দম্পতি নিজেদের বাড়িতেই নিয়মিত ড্রাগস সেবন করে আসছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে আজ সকালে, যখন শাশুড়ি তার পুত্রবধূকে কম্বলের নিচে লুকিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগস নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপরই পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তিনি এবং তার পরিবার বহুবার তাদের ছেলে ও পুত্রবধূকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের এই ভয়ঙ্কর আসক্তি থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। আর্থিক এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত এই পিতা এবং শ্বশুর কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার কাছে হাতজোড় করে আবেদন জানান। তিনি বলেন, তার পক্ষে আর একা এই লড়াই চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার ছেলে এবং পুত্রবধূর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তাদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেছেন।
এই ঘটনাটি রাজ্যের সচেতন মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তাদের মতে, এটি শুধুমাত্র একটি পরিবারের ব্যক্তিগত সমস্যা নয়, বরং এটি রাজ্যের যুবসমাজের এক ভয়ঙ্কর পরিণতির ইঙ্গিত। যদি সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন এখনই ড্রাগস কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, শুধুমাত্র ভাষণ বা ছোটখাটো অভিযানে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন একটি সর্বাত্মক এবং নিরবচ্ছিন্ন লড়াই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বিভিন্ন সময়ে ড্রাগসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা ঘোষণা করেছেন এবং মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করার বার্তাও দিয়েছেন।[1][2] এখন দেখার বিষয়, এই অসহায় পিতার আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশাসন কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং এই ধরনের পরিবারগুলিকে সর্বনাশের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।








