
আগরতলায় YTF-এর শক্তিশালী সাংগঠনিক সভা, নেতৃত্বে প্রদ্যুৎ মাণিক্য ও পূর্ণ চন্দ্র জামাতিয়া।
আগরতলা, ২৫ মে: ত্রিপুরার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরাতে পারে আজকের এই বৈঠক। আজ আগরতলায় অনুষ্ঠিত হলো যুব টিপরা ফেডারেশন (YTF)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সভা। TIPRA Motha’র সুপ্রিমো তথা রাজপরিবারের সদস্য শ্রী প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা এবং ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়া অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল (TTAADC)-এর মাননীয় চিফ এক্সিকিউটিভ মেম্বার (CEM) শ্রী পূর্ণ চন্দ্র জামাতিয়া এই সভায় সরাসরি উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় YTF-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অংশ নেন YTF-এর মাননীয় সভাপতি শ্রী সূরজ দেববর্মা, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী জেমস দেববর্মা, রাজ্যের প্রতিটি জেলার YTF সভাপতি, জেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ, ব্লক সভাপতিরা এবং ব্লক কমিটির প্রতিনিধিরা।
সভায় মূলত সংগঠনের ভবিষ্যৎ রণকৌশল, যুব সমাজের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, স্বশাসনের দাবি, সাংবিধানিক অধিকারের প্রশ্ন, এবং ত্রিপুরার আদিবাসী জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। নেতৃবৃন্দ তৃণমূল স্তর থেকে সংগঠনকে আরও মজবুত ও সক্রিয় করার উপর জোর দেন।

TIPRA Motha’র সর্বভারতীয় নেতা শ্রী প্রদ্যুৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা সভায় বলেন,
“আমাদের লড়াই কেবল একটি রাজনৈতিক অবস্থান নয়, এটি আমাদের অধিকার, আত্মপরিচয় ও অস্তিত্বের জন্য। যুব সমাজ যদি সংগঠিত ও সচেতন হয়, তবে আমাদের লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব নয়। YTF সেই শক্তি, যারা আগামী দিনে এই আন্দোলনের প্রকৃত চালিকাশক্তি হবে।”
CEM শ্রী পূর্ণ চন্দ্র জামাতিয়া সভায় বলেন,
“আদিবাসী যুবকদের মধ্যে নেতৃত্ব গঠনের জন্য এই সভাগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই যুব সমাজ রাজ্যের রাজনীতি, প্রশাসন ও অর্থনীতির মূল স্রোতে অংশগ্রহণ করুক। TTAADC সবরকম সহযোগিতা করবে এই উদ্যোগে।”
সভায় অংশগ্রহণকারী নেতারা সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো আরও মজবুত করার প্রস্তাব দেন। জেলা ও ব্লক স্তরে কর্মশালা, নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, সামাজিক সচেতনতা কর্মসূচি এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার জন্য ধারাবাহিক কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়।
সভা শেষে YTF-এর সভাপতি সূরজ দেববর্মা বলেন,
“এই সভা আমাদের দিশা দেখাবে। আমরা শুধু প্রতিবাদ করি না, আমরা বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চাই। এবং তার জন্য আমাদের সংগঠনকে পেশাদার, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও লক্ষ্যমুখী হতে হবে।”
এদিনের সভা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশে সম্পন্ন হয় এবং উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে ছিল প্রবল উদ্দীপনা ও একতাবদ্ধতার বার্তা।