
ধর্মনগর, ২২ মে: ধর্মনগর শহরের শিববাড়ি এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। এলাকাবাসীর তৎপরতায় একটি অপ্রীতিকর ও নিন্দনীয় ঘটনা ভেসে উঠে এসেছে জনসমক্ষে, যেখানে সংখ্যালঘু সেলের এক নেতার ছেলে হুসেন মিয়াকে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, হুসেন মিয়ার বাড়ি ধর্মনগরের শাঁখাইবাড়ী এলাকায়। অভিযুক্ত হুসেন মিয়া allegedly মক্ষি রানীর আসরে এক মহিলাকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে এনে এক গোপন স্থানে নিয়ে যান। এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় তারা ওই স্থানে হানা দেয় এবং সেখানে উভয়কে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়, এবং স্থানীয়রা হুসেন মিয়াকে ধরে ফেলেন।
ঘটনার পর জনতা কোনও রকম আইন হাতে না নিয়ে যথাযথভাবে ধর্মনগর থানায় খবর দেন। পরে, ধর্মনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তের রাজনৈতিক যোগাযোগ থাকায় অতীতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, তবে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিববাড়ি ও আশপাশের এলাকায় জনমনে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, সমাজে যারা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এমন কাজ সমাজে এক মারাত্মক বার্তা দেয়, যা আগামী প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
ধর্মনগর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত হুসেন মিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন এবং ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে সংখ্যালঘু সেল ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহলেও অস্বস্তির ছায়া পড়েছে। জনগণের দাবী, এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার বলেও মত বিশ্লেষকদের।
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং হুসেন মিয়ার মতো ব্যক্তিদের অপকর্ম ঠেকাতে কতটা আন্তরিকভাবে ভূমিকা পালন করে।