
আগরতলা, ৬ মে ২০২৫: ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সদর দপ্তরে আজ অনুষ্ঠিত হলো এক গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী, প্রদেশ মিডিয়া ইনচার্জ সুনীত সরকার এবং প্রদেশ সম্পাদক বিপিন দেব্বর্মা, এবং অমিত রক্ষিত । এই সম্মেলনে রাজ্য রাজনীতির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট – সবই উঠে আসে রাজ্য সভাপতির কণ্ঠে।

রাজীব ভট্টাচার্যী তাঁর বক্তব্যে ১৯৯৩ সালের ত্রিপুরার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “তখনকার জোট সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, ত্রিপুরায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে হয়েছিল। এমনকি, একটি নির্দোষ উকিলকেও গ্রেপ্তার করানো হয়েছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে।”
তিনি আরও বলেন, “ সিপি আই এম নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী প্রতিদিন বিজেপিকে চাকরি দেওয়ার নামে দোষারোপ করছেন। অথচ ১৯৯৩ সালের ঘটনাগুলো ভুলে গিয়ে এখন নৈতিকতার পাঠ দিচ্ছেন তিনি। তাঁর উচিৎ আত্মসমালোচনা করা।”
ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে রাজ্য সভাপতি মন্তব্য করেন, “জিতেন বাবু যদি ভাবেন গৌমতী নদীর জলে ডুব দিলে পাপ ধুয়ে যাবে, তবে ভুল করছেন। আপনি যে পাপ করেছেন, তা মুচনের জন্য গঙ্গায় গিয়ে প্রয়াগরাজে স্নান করাই শ্রেয়।”

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কংগ্রেসের দলবদলু নেতাদের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় কিছু সুবিধাবাদী কংগ্রেসী নেতা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলে দলে অবস্থান পরিবর্তন করছেন। রাজ্যের মানুষ এই সব রাজনৈতিক নাটক খুব ভালোভাবেই বুঝতে শিখেছে। এই সব সুবিধাবাদীদের মুখোশ আজ উন্মোচিত।”
রাজ্য বিজেপি নেতাদের এই সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য রাজনীতির উপর গভীর আলোচনার পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির প্রতি বিজেপির অবস্থান ছিল সুস্পষ্ট এবং তীব্র। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী দিনে এই বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।