হেলমেট–সিটবেল্ট চেকিং, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, সড়ক নিরাপত্তা এবং সন্ধ্যাকালীন কম যাতায়াতের বার্তা—পুলিশের কঠোর অবস্থান আগামী দিনেও জারি থাকবে বললেন ওসি বিষ্ণু চন্দ্র দাস।
শান্তিরবাজার, ত্রিপুরা । রিপোর্ট-বাহাদুর ত্রিপুরাঃ দক্ষিণ জেলার বাইখোড়া থানা ও জোলাইবাড়ি ফাড়ি থানার যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাপক বিকেল চেকিং অভিযান পরিচালিত হয়। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে শুধু যানবাহন চেকিং-ই নয়, এলাকাবাসীর প্রতি সচেতনতা বার্তাও প্রচার করা হয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে।
চেকিং অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিলোনিয়া জেলার ট্রাফিক অফিসার বিশ্বজিৎ দেববর্মা, শান্তির বাজার এইচডি ভিডি বাপি দেববর্মা, বাইখোড়া থানার ওসি বিষ্ণু চন্দ্র দাস, এবং জোলাইবাড়ি ফাড়ি থানার ওসি খোকন দাস। তাদের নেতৃত্বে যৌথ পুলিশ দল রাস্তায় চলাচলকারী দুই–চাকার ও চার–চাকার যানবাহনে নজরদারি চালায়।
অভিযান চলাকালে দেখা যায়, বেশ কিছু বাইক আরোহী ও গাড়িচালকের হেলমেট ও সিটবেল্ট না থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের তদারকি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি পথচারীসহ সাধারণ যাত্রীদের উদ্দেশে সন্ধ্যাকালীন সময়ে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়।
বাইখোড়া থানার ওসি বিষ্ণু চন্দ্র দাস বলেন, “এ ধরনের কঠোর চেকিং অভিযান আগামী দিনেও চলবে। ট্রাফিক আইন প্রয়োগ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কোনভাবেই শিথিল হবে না।” তিনি আরও জানান, যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিক আইন মানা নিশ্চিত করা এবং দুর্ঘটনা কমানো—এ তিনটি লক্ষ্য নিয়েই এই চেকিং পরিচালিত হয়েছে।
এই চেকিং অভিযানের মূল উদ্দেশ্যগুলো ছিল—
- যানবাহন নিয়ন্ত্রণ: রাস্তায় চলাচল স্বাভাবিক রাখা এবং যানজট কমানো।
- ট্রাফিক আইন প্রয়োগ: আইন না মানলে জরিমানা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
- সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি: দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও জনসাধারণকে সচেতন করা।
- বিশেষ অভিযান: এলাকাভেদে ফুটপাত দখলমুক্তকরণসহ অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা অভিযান পরিচালনা।
স্থানীয়দের মতে, পুলিশের এই উদ্যোগে রাস্তায় শৃঙ্খলা বাড়বে এবং সড়ক দুর্ঘটনার হার কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সন্ধ্যা নামতেই পুলিশের উপস্থিতি এলাকাবাসীর মাঝেও নিরাপত্তাবোধ বাড়িয়েছে।








