শিক্ষায় ভারত-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, সহযোগিতা ও উদ্ভাবনের ওপর জোর; স্কুলগুলোর সাফল্য–চ্যালেঞ্জ উঠে এলো আলোচনায়
ত্রিপুরা, ২৬ নভেম্বর: বিদ্যা ভারতী শিক্ষা সমিতি ত্রিপুরার উদ্যোগে আজ গান্ধীগ্রামের ত্রিপুরেশ্বরী বিদ্যা মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো স্কুলের প্রধানাচার্য, সম্পাদক এবং স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির (SMC) সদস্যদের এক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। শিক্ষা–পরিকল্পনা, ভবিষ্যৎ কৌশল এবং ভারত-কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতিকে সামনে রেখে আয়োজন করা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যা ভারতীর অখিল ভারতীয় সংগঠন মন্ত্রী গোবিন্দ চন্দ্র মোহন্ত, অখিল ভারতীয় সহ-সভাপতি ডঃ শঙ্কর রায়, এবং বিদ্যা ভারতীর পূর্বোত্তর ক্ষেত্রের সংগঠন মন্ত্রী ডঃ পবন তিওয়ারি।
দিনব্যাপী এই সভায় রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের অর্জন, চলমান শিক্ষামূলক কার্যক্রমের অগ্রগতি, এবং মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। বিদ্যালয় পরিচালনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে সম্ভাব্য নতুন পরিকল্পনাও আলোচিত হয়।
সভায় সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত ঘটে যখন প্রধান অতিথি গোবিন্দ চন্দ্র মোহন্ত বিদ্যা ভারতী ত্রিপুরা দ্বারা সংকলিত তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা নতুন পাঠ্যপুস্তক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন। এই উদ্যোগকে ত্রিপুরায় বিদ্যা ভারতীর শিক্ষা-পরিচালন ব্যবস্থায় একটি মূল্যবান মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গোবিন্দ চন্দ্র মোহন্ত তার বক্তব্যে বর্তমান শিক্ষার বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ভারতের নিজস্ব মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিনির্ভর শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ও সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতির পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে দেশীয় পরিচয়, ঐতিহ্য ও মানবিক গুণাবলি গড়ে তোলাই হবে আজকের শিক্ষার মূল লক্ষ্য। তিনি শিক্ষাক্ষেত্রের সমস্যা সমাধানে শিক্ষক–অভিভাবক–সমাজের যৌথ উদ্যোগের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন বিদ্যা ভারতীর সচিব সুভাষ গণচৌধুরী। অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সকল অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন রাজ্য সমন্বয়ক নীলমণি চক্রবর্তী।
শিক্ষার উৎকর্ষ সাধন ও সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়াই ছিল এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। বিদ্যা ভারতীর মানসম্মত শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আয়োজন ভবিষ্যতে ত্রিপুরার শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।








