তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় আয়োজিত উৎসবে নাট্য সংস্থার নতুন লাইব্রেরি ও অফিস কক্ষেরও শুভ উদ্বোধন—যুবসমাজকে সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে আসার আহ্বান মন্ত্রীর
শান্তির বাজার প্রতিনিধি: অন্যান্য বছরের মতোই এবছরও অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হলো মুহুরিপুর নাট্য সংস্থা এবং কুশারঘাট তরুণ সংঘের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী মুহুরিপুর নাট্য উৎসব ২০২৫। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের পশ্চিম চরকবাই এলাকায় অনুষ্ঠিত এ উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ, উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা।

আজকের এই বর্ণাঢ্য নাট্য উৎসবের শুভ সূচনা হয় পিটিজি এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে। উদ্বোধনের পর মন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জানান—শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও নাট্যচর্চা একটি সমাজের মানসিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আগামী দিনে আরও বড় পরিসরে এই নাট্য উৎসব করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাইখোড়া ইসকন মন্দিরের প্রভু করুণেশ্বর মাধব দাস, কুশারঘাট তরুণ সংঘের সম্পাদক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথ, মুহুরিপুর নাট্য সংস্থার সভাপতি প্রণজিত সরকারসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বহু উৎসাহী দর্শক।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান—একসময় অত্যন্ত অব্যবস্থাপনার মধ্যেই এই উৎসবের আয়োজন করতে হতো তাঁদের। নাট্য প্রতিভা থাকলেও মঞ্চস্থ করার মতো স্থায়ী জায়গার অভাবে ভুগছিলেন শিল্পীরা। ২০২৩ সালের নির্বাচনের সময় এ সমস্যা বিধায়ক শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার নজরে আসে। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তিনি কথা মতোই নিজের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন মুহুরিপুর নাট্য সংস্থাকে।
সেই অনুদান দিয়ে নাট্য সংস্থার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন—নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা—বাস্তবে রূপ পায়। নির্মিত হয় নতুন অফিস কক্ষ ও আধুনিক লাইব্রেরি। আজ নাট্য উৎসব মঞ্চে সেই লাইব্রেরি ও অফিস কক্ষের আনুষ্ঠানিক ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া এবং তা সকলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া অদূর ভবিষ্যতেই নাট্য সংস্থাকে বিভিন্ন আধুনিক মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট প্রদান করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন—যুব সমাজ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, নাটক, নৃত্য, গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে সমাজ আরও আলোকিত হবে, দূর হবে নানা সামাজিক সমস্যা।
মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার এই উদার উদ্যোগে সন্তুষ্ট ও আনন্দিত মুহুরিপুর এলাকার অধিবাসীরা। তাঁদের মতে—এ ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা সাংস্কৃতিক চর্চাকে আরও গতিশীল করবে, শিল্পীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং আগামী দিনে মুহুরিপুরকে সাংস্কৃতিক দিক থেকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে।








