কিংবদন্তি সুরকারের উত্তরাধিকারকে ধারণ করে বিশেষ স্মারক মুদ্রা; অডিও–ভিজুয়াল স্মৃতিচারণা, সঙ্গীত পরিবেশনা ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে জ্বলজ্বল করলো এক সোনালি সন্ধ্যা।
নিউজ ডেস্ক । ১৯ নভেম্বর ২০২৫ঃ সংগীত জগতে সোনালি অক্ষরে লেখা এক নাম— সলিল চৌধুরী। তাঁর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এই কিংবদন্তির স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করল শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স। ১৩ নভেম্বর, আনন্দপুর সলিল চৌধুরী জন্মশতবার্ষিকী সোসাইটির সহযোগিতায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হল ‘সলিল চৌধুরী স্বর্ণাঞ্জলি’ স্বর্ণমুদ্রা— যা শুধু একটি স্মারক নয়, বরং এক অমূল্য শ্রদ্ধার্ঘ্য, এক গভীর অনুভব।
“সলিল চৌধুরী — এক এমন নাম যা সোনার মতোই অমূল্য” — এই বার্তাকে সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই স্মারক স্বর্ণমুদ্রা। তাঁর সুর, গীত ও দর্শনের উজ্জ্বলতাকে প্রতিফলিত করে অদ্বিতীয় এই মুদ্রা, যা বিশেষ সংগ্রাহক এবং সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে এক ঐতিহাসিক সম্পদ হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এক বর্ণাঢ্য অডিও–ভিজুয়াল ট্রিবিউটের মাধ্যমে। সেখানে সলিল চৌধুরীর সমসাময়িক শিল্পীরা— দ্বিজেন মুখার্জি থেকে গুলজার, চলচ্চিত্র-সঙ্গীত জগতের বহু নক্ষত্র— তাঁর জীবন ও সৃষ্টিকর্মের নানা অজানা দিক তুলে ধরেন। তাঁরা নিজেদের স্মৃতি ভাগ করে নেন সেই দিনের মতোই আবেগে, যখন সলিল চৌধুরীর সুর তাদের জীবনে দিশা দেখিয়েছিল।
আজকের তারকা সঙ্গীতজ্ঞ তন্ময় বোস, কবি শ্রীজাত— তাঁরাও শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন এই মহান শিল্পীর অবদান, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে আন্দোলিত করেছে।
মঞ্চে উঠে সলিল চৌধুরীর দুই কন্যা— অন্তরা চৌধুরী ও সঞ্চারী চৌধুরী, সঙ্গে শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য ও সুরকার কল্যাণ সেন বরাট। তাঁরা তুলে ধরেন সলিল চৌধুরীর জীবনদর্শন, সঙ্গীতচিন্তা এবং তাঁর মানবিকতার বিভিন্ন দিক। গান, স্মৃতিচারণা ও অনুভূতির মিশেলে মুহূর্তেই পরিবেশ ভরে ওঠে সোনালি আবেগে।
অবশেষে বহু প্রতীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হয় ‘সলিল চৌধুরী স্বর্ণাঞ্জলি’ স্বর্ণমুদ্রা। উপস্থিত ছিলেন অন্তরা ও সঞ্চারী চৌধুরী, শ্রীকান্ত আচার্য, কল্যাণ সেন বরাট, শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা ও রূপক সাহা।
অন্তরা চৌধুরী গর্বের সঙ্গে বলেন—
“আমার বাবার জন্মশতবর্ষে এই স্বর্ণমুদ্রা প্রকাশ সত্যিই আমাদের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”
শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য জানান—
“কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মশতবর্ষে এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত।”
ডিরেক্টর রূপক সাহা জানান—
“আমরা বরাবরই ভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতির মহারথীদের সম্মান জানাতে গর্ব অনুভব করি। আমাদের ‘সর্বোত্তম সম্মান’-এর প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন বিরজু মহারাজ, এল সুব্রহ্মণিয়ম, উস্তাদ আমজাদ আলি খানসহ বহু দিকপাল।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন— ২০০৮ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রথম স্বর্ণমুদ্রা প্রকাশের ইতিহাসের কথাও।
ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা বলেন—
“সলিল চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুদিনের। জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্বর্ণমুদ্রা প্রকাশ— এটাই ছিল তাঁর প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা।”
অনুষ্ঠানের শেষে ঘোষণা করা হয়—
সীমিত সংস্করণের ‘সলিল চৌধুরী স্বর্ণাঞ্জলি’ স্বর্ণমুদ্রা খুব শিগগিরই বাজারে আসছে।
সঙ্গে আরও থাকবে চাহিদা অনুযায়ী সোনায় মোড়া রুপোর মুদ্রা— উপলভ্য থাকবে স্টক থাকা পর্যন্ত।








