তুলাশিখর ও মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের দূরবর্তী গ্রামাঞ্চলে জলের হাহাকার কাটাতে সাংসদ কীর্তি দেবী সিং দেববর্মনের সহায়তায় নতুন দুটি ট্যাংকার কার্যকর; খোয়াই জেলাশাসকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।
খোয়াই, ত্রিপুরা । রিপোর্ট- কালীদাস ভৌমিকঃ ত্রিপুরার খোয়াই জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় শুকনা মরশুমের প্রভাব প্রতি বছরই পানীয় জলের সংকটকে তীব্র আকার ধারণ করায়। বিশেষ করে তুলাশিখর ও মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের দূরবর্তী ও পার্বত্য অঞ্চলে জলের উৎস প্রায় সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হন। বহু পরিবারকে প্রতিদিন দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয়, আবার অনেক এলাকায় ছোট গাড়ির মাধ্যমে সীমিত পরিমাণ পানি সরবরাহ করা হত—যা প্রয়োজন মেটানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।

মানুষের এই চলমান দুর্দশার কথা বিবেচনায় নিয়ে সাংসদ কীর্তি দেবী সিং দেববর্মন তাঁর সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে দুইটি অত্যাধুনিক পানীয় জলের ট্যাঙ্কার গাড়ি ক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। এই ট্যাঙ্কারগুলির মাধ্যমে এখন জল প্রকল্প থেকে সরাসরি বিভিন্ন পাড়া ও প্রত্যন্ত গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
আজ খোয়াই জেলাশাসকের কার্যালয়ে এক সাদামাটা কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দুইটি নতুন ট্যাঙ্কার আনুষ্ঠানিকভাবে এলাকাবাসীর সেবায় উৎসর্গ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা, দুই ব্লকের প্রতিনিধিরা, পঞ্চায়েত সদস্যরা ও স্থানীয় সাধারণ জনগণ।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সাংসদ কীর্তি দেবী দেববর্মনের বক্তব্য এবং তাঁর হাতেই দুইটি পানীয় জলের ট্যাঙ্কার গাড়ির সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন। উদ্বোধনের পর এই ট্যাঙ্কার গাড়িগুলি যথাক্রমে তুলাশিখর ব্লক এবং মুঙ্গিয়াকামি ব্লক প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সাংসদ জানান—
“শুকনা মরশুমে মানুষের পানি সংকট নিরসন করা আমাদের দায়িত্ব। এই ট্যাঙ্কার গাড়িগুলি এখন থেকে প্রতিটি গ্রামে সরাসরি বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেবে। মানুষের কষ্ট কমলেও আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।”
উল্লেখ্য, আগে যে ছোট গাড়ির মাধ্যমে সীমিত জল সরবরাহ করা হতো তা দূরবর্তী গ্রামগুলির প্রয়োজন পূরণে ব্যর্থ হতো। বড় ক্ষমতাসম্পন্ন এই নতুন ট্যাঙ্কার চালু হওয়ায় এবার খরাপ্রবণ এলাকায় পানির সমস্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।
অন্যদিকে স্থানীয় জনগণ সাংসদের এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এ ধরনের দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে আগামী দিনগুলোতে জলের সংকট অনেকটাই লাঘব হবে।
এদিনের এই ট্যাঙ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান খোয়াই জেলার মানুষের কাছে একটি বাস্তবসম্মত আশা ও স্বস্তির বার্তা নিয়ে এলো—যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে এক নতুন স্বাচ্ছন্দ্যের সূচনা ঘটাবে।








