রাজ্য সরকারের কৃষক আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য পূরণে কৃষি দপ্তরের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা; জৈবিক পদ্ধতিতে কৃষি ও প্রাকৃতিক সার তৈরিতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণে উচ্ছ্বাস মহিলাদের।
জোলাইবাড়ী, ত্রিপুরা । রিপোর্ট- বাহাদুর ত্রিপুরাঃ রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করে তাদের অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তুলতে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে। সেই বৃহত্তর লক্ষ্যকে সামনে রেখে জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরও মাঠ পর্যায়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষিকাজে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং তাদের কৃষিক্ষেত্রে আত্মনির্ভর করে তুলতে সম্প্রতি নেওয়া হয়েছে একাধিক বিশেষ উদ্যোগ।
এই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে সোমবার দেবদারু এলাকায় জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরের তত্ত্বাবধায়কের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হলো মহিলাদের জন্য একটি বিস্তৃত প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এলাকার মহিলা কৃষকদের বাছাই করে তাদের জৈবিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শেখানোর জন্য আয়োজন করা হয় এই কর্মসূচির।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের দুইজন অভিজ্ঞ সাইন্টিস্ট ও কৃষি বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের হাতে-কলমে বিভিন্ন কৌশল শিখিয়ে দেন। বিশেষ করে কিভাবে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে জৈব সার প্রস্তুত করা যায় এবং কিভাবে সেই সার ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব কৃষি উৎপাদন সম্ভব — তা নিয়ে বিশদ আলোচনা ও প্রদর্শনী করা হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়—জৈবিক কৃষি শুধু জমির উর্বরতা বাড়ায় না, চাষের খরচও কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আরও বেশি লাভবান হতে সাহায্য করে। পরিবেশ রক্ষাতেও এই কৃষি পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক শ্রীদাম দাস, জোলাইবাড়ী এগ্রি স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রেসিডেন্ট জয়দেব দত্ত, দেবদারু কৃষি দপ্তরের সেক্টর অফিসারসহ এলাকার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানস্থলে সকাল থেকেই মহিলা কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই জানিয়েছেন—এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং নতুন প্রযুক্তি শিখে নিজেরাই আয় বৃদ্ধির পথ তৈরি করতে পারেন।
রাজ্য সরকারের কৃষি উন্নয়নমূলক স্বপ্ন বাস্তবায়নে জোলাইবাড়ী কৃষি দপ্তরের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিঃসন্দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভবিষ্যতেও এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা।








