শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে জোর, মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়ার বক্তব্য
“রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই গড়ে তুলতে পারে স্বচ্ছ প্রশাসন।”
দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বেলোনিয়া উপ-জেলার শিক্ষা পর্যালোচনা ও মনিটরিং সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয় জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয়ে।
এই সভার আয়োজন করে — অফিস অফ দ্য ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার, বেলোনিয়া, সাউথ ত্রিপুরা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের সংখ্যালঘু কল্যাণ ও উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া, দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক, এবং শিক্ষা বিভাগের একাধিক প্রতিনিধি।
এই সভায় শিক্ষা ক্ষেত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় — শিক্ষকদের সঙ্গে স্কুল ইন্সপেক্টরদের পারস্পরিক যোগাযোগ কতটা কার্যকর, তারা কীভাবে একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন, এবং কীভাবে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা যেতে পারে, সে বিষয়ে।
শিক্ষাক্ষেত্রের সার্বিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রশাসনিক মনিটরিংয়ের ভূমিকা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী শুক্লা চরন নোয়াতিয়া।
তিনি বলেন —
“শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়নে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যত কম হবে, ততই প্রতিষ্ঠানগুলির স্বচ্ছতা ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি দ্বারা মনিটরিং না করিয়ে, যদি প্রশাসনিক ও শিক্ষাগত প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও উন্নতি আসবে।”
মন্ত্রী আরও বলেন — সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সভায় জেলা শিক্ষা আধিকারিকসহ দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত পরিদর্শন ও পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ের গুণগত মান বজায় রাখাই মূল লক্ষ্য।
এই জেলা পর্যায়ের পর্যালোচনা সভার সার্বিক উদ্দেশ্য ছিল — শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কের দৃঢ়তা বৃদ্ধি, এবং একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।










