তেলিয়ামুড়া মহকুমার গামাইবাড়ি এলাকায় খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা। বিজেপি বুথ সভাপতি ও ক্লাব সম্পাদক সহ একাধিক জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের। আক্রান্তদের দাবি— আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
মৃণ্ময় রায়, তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি । ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ঃ তেলিয়ামুড়া মহকুমার গামাইবাড়ি এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে চরম অস্থিরতা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে— বিজেপি নেতা এবং দেবদূত ক্লাবের একদল সদস্য স্থানীয় পাঁচটি পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছেন।
এই ঘটনায় সঞ্জিত সরকারসহ মোট পাঁচটি পরিবার আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁরা তেলিয়ামুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে সরাসরি নাম উল্লেখ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, খাস জমিতে জোরপূর্বক দখলদারি করতে আসে দেবদূত ক্লাবের একদল যুবক।
সেই দলটির নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি বুথ সভাপতি সঞ্জয় সরকার এবং দেবদূত ক্লাবের সম্পাদক পবিত্র সরকার।
তাঁরা সঞ্জিত সরকারের বাড়ি সহ আরও চারটি বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা, হুজ্জুতি এবং ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি অভিযোগ করে বলেন—
“আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের পরিবারগুলিকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। প্রশাসন যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ও আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।”
এছাড়াও তাঁরা জানান, বুথ সভাপতি সঞ্জয় সরকার এবং ক্লাব সম্পাদক পবিত্র সরকারসহ একদল যুবক মূলত এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে।
আক্রান্তদের দাবি— জমি নিয়ে পুরনো বিরোধের জেরে এই হামলা সংগঠিত হয়েছে, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনায় সঞ্জিত সরকার মোট ১১ জনের নাম উল্লেখ করে তেলিয়ামুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন —
গোবিন্দ রায়, লব রায়, কোশ রায়, বিশ্বজিৎ রায়, সুজিত সূত্রধর, দীপক সূত্রধর, সুকুমার রায়, পবিত্র সরকার, রাজকুমার চৌধুরী, এবং আরও দু’জন স্থানীয় বাসিন্দার নাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ পাওয়ার পর তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তদন্তকারীরা এলাকায় গিয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে, এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—
“এই ধরনের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দোষীরা যেই হোক, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গামাইবাড়ির এই জমি-বিবাদকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন পুরো এলাকাজুড়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু।
সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন— প্রশাসন কতটা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে?








