তিন প্রজন্ম ধরে একটানা চলে আসা পূজোয় কুমারী পূজা ও হাজারো ভক্তের জন্য প্রসাদের আয়োজন—এ এক সামাজিক মিলনমেলা।
আগরতলা , ত্রিপুরা । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ঃ আগরতলার নিকটবর্তী ছোট্ট গ্রাম হাঁপানিয়ার বুকেই লুকিয়ে আছে এক শতাব্দীরও বেশি পুরনো এক ঐতিহ্যের গল্প। ধীরেন্দ্র চন্দ্র ভট্টাচার্যের বাড়িতে এবছর অনুষ্ঠিত হলো ১০৫তম দুর্গাপূজা। ১৯৬৪ সাল থেকে এটি ধারাবাহিকভাবে পালন করে চলেছেন তার উত্তরসূরি শোভনলাল ভট্টাচার্য ও কৃষ্ণধন ভট্টাচার্য।
পরিবারের ঐতিহ্যবাহী “তরুলতা ভবন”-এর আঙিনায় অনুষ্ঠিত এই পূজো এখন কেবল একটি পারিবারিক আয়োজন নয়, হয়ে উঠেছে গোটা এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় মিলনমেলা।
এই পূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো অতিথি আপ্যায়ন। পূজোর প্রতিটি দিনে, প্রায় ২,০০০ থেকে ৩,০০০ ভক্ত ও দর্শনার্থীর জন্য ভোগের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মানুষজন তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকেও আসেন বহু মানুষ এই ঐতিহ্যের স্বাদ নিতে।
আরেকটি বড় আকর্ষণ হলো নবমীর দিন কুমারী পূজা। প্রতিবছর নবমীতে নয়জন কুমারীকে দেবীর প্রতীক রূপে পূজা করা হয়। এই আচার শুধু ধর্মীয় নয়, গ্রামবাসীর কাছে এটি এক বিশেষ আধ্যাত্মিক অনুভূতির উৎস।
স্থানীয় প্রবীণদের মতে, এই পূজা শুধুই একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং এটি গ্রামের ঐক্য, সম্প্রীতি এবং সংস্কৃতির প্রতীক। তিন প্রজন্ম ধরে ধীরেন্দ্র চন্দ্র ভট্টাচার্য্যের পরিবার যে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় এই পূজা পরিচালনা করে আসছে, তা হাঁপানিয়ার ইতিহাসের গর্বিত অংশ।








