রাতের আঁধারে পথশিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে নিরলস পরিশ্রম, মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার ও ব্লাড ডোনেশন – এক নতুন ত্রিপুরা গড়ার সংকল্প ‘ত্রিপুরা ইউথ ব্রিগেড’-এর
ত্রিপুরা, ২৭ সেপ্টেম্বরঃ ত্রিপুরা রাজ্যের এক ঝাঁক যুবক নিজেদের সময়, পরিশ্রম আর ভালোবাসা উজাড় করে গড়ে তুলেছে এক মানবিক সংস্থা – ত্রিপুরা ইউথ ব্রিগেড। এই সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট সুদীপ, যিনি গত ৮ মাস ধরে নিজের নেতৃত্বে এক ব্যতিক্রমী সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে চলেছেন।
ত্রিপুরা ইউথ ব্রিগেডের সদস্যরা রাতের আঁধারে পথে ঘুরে ঘুরে অসহায়, গরীব, এবং নিঃসহায় মানুষদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন গরম খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল, ছোট শিশুদের জন্য বিস্কুট, কেক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। তাদের একটাই লক্ষ্য – যেন কোনো মানুষ রাতের বেলা অনাহারে ঘুমাতে না যায়।
এদিন ২৭ সেপ্টেম্বর, পুজোর আনন্দে গরীব মানুষদের শরিক করতে এই ব্রিগেড আয়োজন করে এক বিশেষ কর্মসূচির।
ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তারা ১০০-র বেশি মানুষকে নতুন জামাকাপড়, খাবার, পানীয় জল এবং ছোটদের জন্য চকলেট তুলে দেন। শুধু দেওয়াই নয়, তারা সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে দিয়েছেন।
এই মহৎ উদ্যোগে অংশ নিয়েছিলেন ত্রিপুরারই আরেক সমাজসেবী ইউটিউবার Supam Pampa Vlog। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই পথশিশুদের জন্য কাজ করে চলেছেন এবং এই দিনে ত্রিপুরা ইউথ ব্রিগেডের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
Supam ও ত্রিপুরা ইউথ ব্রিগেড যৌথভাবে কাজ করছে রাতের বেলায় শিশুদের মাদকের কবল থেকে বাঁচাতে। তারা রাস্তায় নেমে পর্যবেক্ষণ করছেন কোথায় শিশু-কিশোররা বিপদে পড়ছে, এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন।
এছাড়া সংগঠনের আরেকটি বড় উদ্যোগ হলো ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প আয়োজন, যেখানে তারা নিয়মিতভাবে রক্তদান করে অসুস্থদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এইসব সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে ত্রিপুরা ইউথ ব্রিগেড রাজ্যের সমাজে এক ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
ত্রিপুরা ইউথ ব্রিগেডের প্রেসিডেন্ট সুদীপ জানিয়েছেন, এটাই শেষ নয় – তারা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চান। তাঁর ভাষায়,
“রাস্তায় পড়ে থাকা কোনও মানুষ যেন অসুস্থ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় না থাকে – সেটাই আগামী দিনের প্রধান লক্ষ্য।”
ত্রিপুরা ইউথ ব্রিগেড প্রমাণ করছে যে ভালো কাজ করার জন্য প্রয়োজন শুধু একটা মন আর দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি। তারা সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে গড়ে তুলছে মানবিক ত্রিপুরা – যেখানে কেউ একা পড়ে থাকছে না, কেউ না খেয়ে ঘুমোচ্ছে না, আর কেউই অবহেলার শিকার হচ্ছে না।









