গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ধৃত; কুমারঘাট থানার ওসি সঞ্জয় দাসের নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর সাফল্য।
কুমারঘাট, ত্রিপুরাঃ ১৪ই সেপ্টেম্বর, রবিবার সন্ধ্যায় কুমারঘাট থানার পুলিশ একটি বড়সড় মাদক পাচার চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য অর্জন করেছে। গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, একটি ওয়াগন আর গাড়ি (নম্বর: AS05P8013)-র মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। খবরটি পাওয়ার পরপরই কুমারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় দাসের নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী থানা চত্বরে তৎপর হয়ে ওঠে এবং নাকা চেকিং-এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
রবিবার বিকাল থেকেই পুলিশ বাহিনী থানা সংলগ্ন এলাকায় সতর্ক অবস্থানে ছিল। সন্ধ্যার দিকে সন্দেহজনক গাড়িটি যখন নাকা চেকিং পয়েন্ট অতিক্রম করতে যাচ্ছিল, তখনই সেটিকে চিহ্নিত করে আটক করে পুলিশ। গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে বেরিয়ে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য—মোট ১৪১ কেজি গাঁজা গাড়ির ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সেইসঙ্গে আটক করা হয় দুজন যুবককে, যারা এই পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম পলাশ সিং, যার বাড়ি কুমারঘাট থানার অন্তর্গত এলাকায় এবং অপরজন অনুপম দত্ত, যিনি সোনামুড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, গাড়িটির ভেতর থেকে একাধিক ভুয়া নম্বর প্লেটও উদ্ধার করা হয়েছে, যা মাদক পাচারের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখার একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
ঘটনার পর ঊনকোটি জেলার অ্যাডিশনাল এসপি রূপম চাকমা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, এই গাঁজা চালানের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বেশি। তিনি কুমারঘাট থানার পুলিশের এই সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, “এই ধরনের অভিযান কেবল অপরাধ দমনেই সহায়ক নয়, বরং সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
এই অভিযানকে কেন্দ্র করে কুমারঘাটের সাধারণ মানুষও পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতেও কুমারঘাট থানার পুলিশ এ ধরনের অভিযান চালিয়ে যাবে এবং মাদক চক্রের শিকড় উৎখাত করবে।








