পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে অনুষ্ঠিত লংতরাই-এর ব্যতিক্রমী আয়োজন রন্ধনশিল্প ও ব্যবসায়িক কৌশলের যুগলবন্দিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। উজ্জ্বল উপস্থিতিতে মুখরিত ‘আশীর্বাদ ভবন’।
নিউজ ডেস্ক । ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫: আজ তমলুকের বুকে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ আয়োজন – “রাঁধুনি মিট ও ডিলার মিট – ২০২৫”, যা প্রখ্যাত FMCG ব্র্যান্ড লংতরাই-এর এক অনন্য প্রয়াস। পূর্ব মেদিনীপুরের আশীর্বাদ ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র একটি কর্পোরেট সম্মেলন ছিল না; এটি ছিল রন্ধনশিল্প, বিপণন এবং সম্পর্কের এক সুন্দর মেলবন্ধন। সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে দিনভর চলা এই আয়োজনে ছিল উষ্ণ স্বাগত, সৃজনশীল রন্ধন প্রদর্শনী, ব্যবসায়িক কৌশলগত আলোচনা এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ মিলনমেলা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লংতরাই-এর মূল্যবান ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর এবং নামকরা রাঁধুনিরা, যাঁরা তাঁদের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলেন।

বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল একাধিক প্রতিভাবান রন্ধনশিল্পীদের লাইভ কুকিং সেশন, যেখানে তাঁরা লংতরাই-এর পণ্য ব্যবহার করে চমকপ্রদ রেসিপি উপস্থাপন করেন। একদিকে যেমন অনুষ্ঠানে শৈল্পিক রন্ধনের প্রদর্শনী দর্শকদের মুগ্ধ করে, অন্যদিকে ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনায় উঠে আসে বাজার সম্প্রসারণ, নতুন পণ্যের সম্ভাবনা, গ্রাহক চাহিদা এবং আগামী দিনের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা।
উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তমলুক পৌরসভার মাননীয় চেয়ারম্যান শ্রী দিপেন্দ্র নারায়ণ রায়, যিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন –
“লংতরাই-এর এই উদ্যোগ শুধু একটি কোম্পানির অগ্রগতির বার্তা বহন করে না, এটি সমাজের সঙ্গে একটি ব্র্যান্ডের বন্ধনের প্রতীক। এই রকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা ব্যবসা ও সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারি।”
অন্যদিকে, ব্যবসায়িক দিক থেকে লংতরাই-এর অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান নন্দ দুলাল সাহা অ্যান্ড সন্স-এর প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং ব্র্যান্ডের প্রতি তাঁদের আস্থা ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
কোম্পানির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন
- ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্রী রতন দেবনাথ,
- এইচ আর ম্যানেজার শ্রীমতি সুপ্রিয়া গোপ,
- এরিয়া সেলস ম্যানেজার শ্রী প্রিন্স কুমার সিকদার, এবং
- বাজার ব্যবস্থাপক শ্রীমতি অন্বেষা সিংহ।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ম্যানেজিং ডিরেক্টর রতন দেবনাথ নিজে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থেকে প্রতিটি অতিথির সঙ্গে আন্তরিকভাবে দেখা করেন, তাঁদের মতামত শোনেন এবং ভবিষ্যতের রূপরেখা ভাগ করে নেন। তাঁর নেতৃত্বের প্রতি সকলের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করা হয়, এবং অনেকেই বিশ্বাস করেন, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্বে লংতরাই আগামীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে আরও উজ্জ্বলভাবে আবির্ভূত হবে।
রতন দেবনাথ তাঁর বক্তব্যে বলেন –
“ত্রিপুরা থেকে শুরু করে আজ পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা পূর্ব ভারতে আমরা গ্রাহকদের ভালোবাসা পেয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, রাঁধুনি ও ডিলার – দু’পক্ষই আমাদের পরিবারের অঙ্গ। এই পরিবারের শক্তিতেই আমরা আগামীদিনে লংতরাই-কে ভারতের শীর্ষ FMCG ব্র্যান্ড করে তুলব।”
লংতরাই-এর শিকড় ত্রিপুরায় হলেও, আজ এটি পূর্ব ভারতের অন্যতম পরিচিত এবং পছন্দের FMCG ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। খাদ্যপণ্য, মশলা ও ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লংতরাই ক্রেতাদের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছে। এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী রাঁধুনি, খুচরো বিক্রেতা, পরিবেশক ও ডিলারদের মধ্যে ছিল প্রবল উৎসাহ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রতি দৃঢ় আস্থা।
অনুষ্ঠানের শেষভাগে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় এবং আয়োজিত হয় মধ্যাহ্নভোজ। এক প্রাণবন্ত, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয় এই সৃজনশীল ও ব্যবসায়িক চিন্তার মিলনমেলা।
“রাঁধুনি মিট ও ডিলার মিট – ২০২৫” কেবলমাত্র একটি কর্পোরেট ইভেন্ট ছিল না – এটি ছিল মানুষের সঙ্গে মানুষের, ব্র্যান্ডের সঙ্গে সমাজের, এবং ব্যবসার সঙ্গে সংস্কৃতির এক হৃদয়স্পর্শী সংযোগ। লংতরাই-এর এই অনন্য উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।








