জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিতকরণে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধনে উজ্জ্বল হল জনসেবার প্রতিশ্রুতির নতুন অধ্যায়।
কৈলাসহর, ত্রিপুরা: জনকল্যাণমূলক কাজের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ৫৩-নং বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিরজীৎ সিনহা, তাঁর নির্বাচনী এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থানুকূল্যে কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবকে একটি অত্যাধুনিক, শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত নতুন অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে। এই মহতী উদ্যোগটি স্থানীয় চিকিৎসা সেবায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব, বিধায়ক বিরজীৎ সিনহা, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা সেবা, জনকল্যাণমূলক কাজ, বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিল।
মঙ্গলবার সকালে কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে অ্যাম্বুলেন্সটির চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবের হাতে তুলে দেন বিধায়ক বিরজীৎ সিনহা। এই অ্যাম্বুলেন্সটি জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে এবং উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে। বিশেষত, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকায় রোগীরা আরও আরামদায়ক ও নিরাপদ পরিবেশে পরিবহন সুবিধা পাবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্টজন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান, মহকুমা শাসক বিপুল দাস, কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সুপ্রিয় দেবরায় এবং বর্তমান সভাপতি প্রাণতোষ রায়। এছাড়া, ক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এবং সাধারণ মানুষও এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রসঙ্গে, বিধায়ক বিরজীৎ সিনহা তাঁর বক্তব্যে এই জনসেবামূলক কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “জরুরি সময়ে দ্রুত এবং মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব। এই অ্যাম্বুলেন্সটি সেই লক্ষ্য পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ভবিষ্যতেও এলাকার জনকল্যাণমূলক কাজে, বিশেষত স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে আমরা অগ্রাধিকার দেব। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার প্রধান লক্ষ্য।” বিধায়কের এই প্রতিশ্রুতি স্থানীয় মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি প্রাণতোষ রায় বিধায়ক বিরজীৎ সিনহাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এই অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্সটি পাওয়ার ফলে আমরা সমাজের পিছিয়ে পড়া এবং অসহায় মানুষের কাছে আরও ভালোভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারব। এটি আমাদের ক্লাবের জনসেবামূলক কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে।”
এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান নয়, বরং এটি কৈলাসহরবাসীর উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার অধিকারের প্রতি একটি সুদৃঢ় অঙ্গীকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের এমন সমন্বিত প্রচেষ্টা নিশ্চিতভাবে কৈলাসহরের সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি নিঃসন্দেহে এলাকার চিকিৎসা পরিষেবার মানকে আরও উন্নত করবে এবং জরুরি অবস্থায় বহু মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়ক হবে।








