১০৩ জন জওয়ানের রক্তদান; আইজি কেডি মারাক এবং কমান্ডেন্ট অশোক সিনহার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হল বিশেষ কার্যক্রম
তেলিয়ামুড়া, ত্রিপুরা । ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: নিজেদের পেশাগত দায়িত্বের গণ্ডি পেরিয়ে সমাজ সেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের (টিএসআর) দ্বাদশ বাহিনীর জওয়ানরা। আজ চাকমা ঘাটের হেড কোয়ার্টারে এক বর্ণাঢ্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়, যেখানে ১০৩ জন সাহসী টিএসআর জওয়ান স্বেচ্ছায় রক্তদান করে এক মহতী উদ্যোগের অংশীদার হলেন। ব্যাটালিয়ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জওয়ানদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সমাজের প্রতি তাদের গভীর দায়বদ্ধতাকেই প্রমাণ করে।

দীর্ঘদিন ধরেই টিএসআর-এর দ্বাদশ বাহিনী বিভিন্ন প্রকারের সমাজ সচেতনতামূলক এবং জনহিতকর কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। আজকের এই রক্তদান শিবির সেই ধারাবাহিকতারই এক উজ্জ্বল প্রতিফলন। এই মহৎ উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন টিএসআর-এর পদাধিকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, যাঁদের মধ্যে অন্যতম আইজি কেডি মারাক, কমান্ডেন্ট অশোক সিনহা এবং ডেপুটি কমান্ডেন্ট সুবোধ চন্দ্র দাস।
শিবিরে উপস্থিত টিএসআর বাহিনীর পদাধিকারীরা রক্তদানকারী জওয়ানদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন যে আগামী দিনেও বাহিনীর জওয়ানরা আরও বৃহত্তর পরিসরে এই ধরনের সমাজসেবামূলক কাজে এগিয়ে আসবে। এই রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে সংগৃহীত রক্ত তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল এবং খোয়াই জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে জমা করা হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে বহু মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়ক হবে।
এছাড়াও, আজকের এই বিশেষ দিনে বাহিনীর সদস্যদের জন্য আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করা হয়েছে। জওয়ানদের আবাসন ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে দুটি পৃথক নবনির্মিত ব্যারাক উদ্বোধন করা হয়েছে। এই ব্যারাকে ১২০ জন জওয়ানের থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। একই সাথে, বাহিনীর সাথে যুক্ত লন্ড্রি কর্মী এবং সেলাই কর্মীদের জন্যও পৃথক ব্যারাকের উদ্বোধন করা হয়, যা তাঁদের কাজের পরিবেশ ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে। এই সকল উদ্যোগ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এক নতুন উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
টিএসআর দ্বাদশ বাহিনীর এই ধরনের কার্যক্রম একদিকে যেমন তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় বহন করে, তেমনই অন্যদিকে দেশের অন্যান্য বাহিনী ও সাধারণ মানুষের কাছেও এক অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। দেশরক্ষার পাশাপাশি জনসেবায় তাদের এই অবিচল প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।










