রেহান মগ, শাথাই মগ ও ক্রাবেরি মগকে সহায়তা প্রদান; দিব্যাঙ্গ ছাত্রী চানু মগের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা; এবিভিপি-র অঙ্গীকার – কাউকে পিছিয়ে রেখে নয়, সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে চলা।
শান্তিরবাজার প্রতিনিধি, বাহাদুর ত্রিপুরা: শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া এবং আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আজ শান্তিরবাজার এলাকায় এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। সমাজের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা জীবনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এবিভিপির কার্যকর্তারা আজ একাধিক কর্মসূচী পালন করেন।
এদিনের কর্মসূচীর প্রথমেই এবিভিপির সদস্যরা রেহান মগ নামক একজন শিক্ষার্থীর বাড়িতে যান। তার হাতে খাতা, কলম, প্রয়োজনীয় পড়াশোনার সামগ্রী এবং একটি নতুন স্কুল ইউনিফর্ম তুলে দেওয়া হয়। রেহানের শিক্ষা জীবনকে সহজ ও অনুপ্রেরণাদায়ক করে তোলার লক্ষ্যেই এই সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শুধু উপকরণ বিতরণই নয়, আগামী দিনে রেহানের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সুবিধার পাশাপাশি পড়াশোনার ক্ষেত্রে সে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তা নিয়েও তার পরিবার, বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবিভিপির কার্যকর্তারা। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল একটি সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে রেহানের শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
এরপর, রেহানের বাড়ির পাশেই বসবাসকারী আরও দুইজন মেধাবী শিক্ষার্থী, শাথাই মগ এবং ক্রাবেরি মগ-এর বাড়িতেও যান এবিভিপির সদস্যরা। তাদের হাতেও খাতা-কলম সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পড়াশোনার সামগ্রী তুলে দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার প্রতি আরও আগ্রহী হবে এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে বলে এবিভিপি আশা প্রকাশ করেছে।
এদিনের কার্যক্রমে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে। স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী একজন দিব্যাঙ্গ ছাত্রী, চানু মগের ব্যাপারেও এবিভিপির কার্যকর্তারা খোঁজখবর নেন। চানু এবং তার পরিবারের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর, এবিভিপির পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে চানুর পরিবারকে কিভাবে আরও কার্যকরভাবে সাহায্য করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই আলোচনা থেকে চানুর জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই সহায়তা পরিকল্পনা তৈরির পথ উন্মুক্ত হলো বলে আশা করা হচ্ছে।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ সবসময়ই এই বিশ্বাসে কাজ করে যে, সমাজের কোনো ছাত্রছাত্রীকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। তাদের স্লোগান এবং কর্মপদ্ধতি একটাই—”পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।” আজকের এই কার্যক্রম সেই অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। এবিভিপির কার্যকর্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও তারা সমাজের প্রতিটি স্তরের শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করে যাবেন। তাদের এই উদ্যোগ স্থানীয় মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং এটি অন্যান্য সংগঠনকেও এমন জনকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।








