মূল্যবান সামগ্রী ও হার্ডডিস্ক চুরির আশঙ্কা; শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ বা প্রধান শিক্ষক ঘটনাস্থলে পৌঁছাননি, স্থানীয়রা ও শিক্ষকরা ছুটে গেছেন; প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
তেলিয়ামুড়া, ত্রিপুরা । ৩১ আগস্ট ২০২৫: তেলিয়ামুড়া মহকুমার তুইসিন্দ্রাই বাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে এক নজিরবিহীন চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। চোরেরা বিদ্যালয়ের ২৬টি আলমারি ও গোদরেজের তালা ভেঙে ভেতরের জিনিসপত্র তছনছ করেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিদ্যালয় থেকে ঠিক কী কী সামগ্রী চুরি হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে, যেহেতু বিদ্যালয়ের প্রায় সমস্ত গোদরেজের তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে, তাই এটি স্পষ্ট যে চুরির ঘটনাটি অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং এর পেছনে কোনো গভীর রহস্য থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথি, পরীক্ষার সামগ্রী অথবা মূল্যবান সরঞ্জাম খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
সংবাদ সংগ্রহ করা পর্যন্ত, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিংবা পুলিশ প্রশাসনের কোনো প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাননি। এই বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। তবে, চুরির খবর পেয়েই স্থানীয় কিছু এলাকাবাসী এবং বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত রয়েছেন।
উপস্থিত সকলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, চোরের দল হয়তো গোদরেজ থেকে মূল্যবান কাগজপত্র, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে গেছে। একইসঙ্গে, বিদ্যালয়ে থাকা অল্প কিছু নগদ টাকা, যা সাধারণত ভর্তির সময় সংগ্রহ করা হয়, সেই ২ থেকে ৩ হাজার টাকাও চোরেরা হাতিয়ে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, একটি মহল থেকে আরও গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। তাঁদের অনুমান, চোরেরা কম্পিউটার থেকে হার্ডডিস্ক জাতীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বা ডিভাইস চুরি করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে, কারণ যদি হার্ডডিস্ক চুরি হয়ে থাকে, তবে তা বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার জন্য বড়সড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। শিক্ষার্থীদের তথ্য, পরীক্ষার ফলাফল বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল নথি বেহাত হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন সবার দৃষ্টি পুলিশি তদন্তের দিকে নিবদ্ধ। এলাকাবাসী এবং শিক্ষক মহল অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই আশায় যে, পুলিশ দ্রুততার সাথে তদন্ত শুরু করে এই চুরির ঘটনার পেছনের রহস্য উদঘাটন করতে পারবে এবং চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হবে। এই ধরনের ঘটনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এবং আগামী দিনে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি উঠেছে।








