বাধারঘাটের বিজেপি কর্মী দ্বীপ সুরের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ মা-মেয়ে। পশ্চিম মহিলা থানা থেকেও মেলেনি সুরাহা, অভিযুক্তের হুমকিতে দিশেহারা পরিবার।
নিউজ ডেস্ক । ৩০ অগাস্ট ২০১৫ঃ এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো বাধারঘাট। ভালোবাসার নামে প্রতারিত হয়ে এবং পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে বিচারের দাবিতে আমতলী মহিলা থানার সামনে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন এক যুবতী। তার অভিযোগ, বাধারঘাটের বিজেপি কর্মী দ্বীপ সুর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে, কিন্তু পরে বিয়েতে অস্বীকার করে। এই ঘটনায় বিচার চাইতে গিয়ে প্রথমে পশ্চিম মহিলা থানা এবং পরে আমতলী মহিলা থানার দ্বারস্থ হলেও, সুবিচার মেলেনি। উল্টে আমতলী মহিলা থানায় তাদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যুবতী ও তার মা। এই অপমানে তারা থানার সামনেই রাস্তায় বসে পড়েন।

বাধারঘাট মাতৃপল্লীর বাসিন্দা ওই যুবতীর সাথে বাধারঘাটেরই বিজেপি কর্মী দ্বীপ সুরের দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। উভয় পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছিল এবং তাদের আশীর্বাদও সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দ্বীপ সুর অপ্রত্যাশিতভাবে বিয়েতে অস্বীকার করে। এই আকস্মিক অস্বীকৃতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েন যুবতী ও তার মা। তারা ন্যায়বিচারের আশায় প্রথমে পশ্চিম মহিলা থানায় যান। প্রায় দশ দিন আগে তারা এই অভিযোগ নিয়ে পশ্চিম মহিলা থানায় এলেও, তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এরপর তারা আমতলী মহিলা থানার দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানেও তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্ব্যবহার ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে মা ও মেয়ে থানার সামনেই রাস্তায় বসে পড়েন। তাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত দ্বীপ সুর এখনো প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। অথচ পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত পলাতক।
নিপীড়িতা যুবতী ক্যামেরার সামনে এসে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমি ভালোবাসার নামে প্রতারিত হয়েছি। দ্বীপ আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আর পুলিশ আমাদের সাথে এমন ব্যবহার করছে যেন আমরাই অপরাধী। যদি আমি বিচার না পাই, তাহলে এই থানার সামনেই প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করব।” তার এই চরম হুঁশিয়ারি স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই ঘটনাটি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগকারী মা-মেয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাদের হুমকি দিচ্ছে, অথচ পুলিশ তাকে পলাতক বলছে। প্রশাসনের এই নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেয় এবং প্রতারিত যুবতী আদৌ ন্যায়বিচার পান কিনা।








