
সরকারি চারা, নিজস্ব পরিশ্রম—অর্চনার হিমসাগর আম চাষে লাভের গল্প।
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি; মৃন্ময় রায়ঃ তেলিয়ামুড়া আর.ডি. ব্লকের অন্তর্গত সর্দূকর্করি এডিসি ভিলেজের মংকরী পাড়ার এক জনজাতি মহিলা এবার হিমসাগর আম চাষ করে প্রথমবারের মতো লাভের মুখ দেখছেন। আসাম রাইফেল ক্যাম্পের পিছনে অবস্থিত গ্রামের বাসিন্দা অর্চনা কলই, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে তেলিয়ামুড়া কৃষি দপ্তর থেকে বেনিফিশিয়ারি হিসেবে পেয়েছিলেন ২০০টি হিমসাগর আমের চারা।
সেই চারা নিজের ২ কানি জমিতে রোপণ করে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে পরিচর্যা করেছেন নিজ খরচে, নিয়মিত শ্রমিক লাগিয়ে। যদিও গত বছর প্রথম ফলন আসে, তাতে আশানুরূপ ফলন ছিল না। কিন্তু এবছর তাঁর সেই আম বাগানে ফলন এসেছে ঝাঁকিয়ে। প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে পরিমাণ মতো, আর তার স্বাদ, রসালতা ও গুণগত মানে হিমসাগর আম মুগ্ধ করেছে বাজারকে।

অর্চনা জানান, এই বছর থেকেই আম বিক্রি করে তিনি তার পূর্বের খরচের পরিমাণ ওঠাতে সক্ষম হয়েছেন এবং লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। বাজারে নিজ উদ্যোগে বিক্রি করে প্রথমে খ্যাতি পেলেও এখন বিভিন্ন পাইকারি ব্যবসায়ী নিয়মিত তাঁর সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
নিজের হাতে গড়া আম বাগান ঘুরিয়ে দেখিয়ে অর্চনা বলেন, “সরকারি সাহায্য বলতে ওই একবার চারা ছাড়া আর কিছু পাইনি। বাকিটা আমি নিজেই করেছি। এখন যখন এই গাছ থেকে ভালো ফলন পাচ্ছি, মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক হয়েছে।”
বর্তমানে অর্চনা কলই বাড়ি থেকেই আম বিক্রি করে ভালো আয় করছেন এবং নিজেকে স্বাবলম্বী বলে মনে করছেন। ভবিষ্যতে আয় আরও বাড়াতে নতুন পরিকল্পনাও করছেন তিনি।
এমন সাফল্য কেবল অর্চনার নয়, বরং অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছে এলাকার আরও অনেক নারীর জন্য।