
আগরতলা, ১৮ মে ২০২৫ঃ পেহেলগাঁও হামলার পর ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী শক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সফলভাবে চালায় ‘অপারেশন সিন্দুর’। এই অপারেশনটি সীমান্তপারের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়, যার ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সন্ত্রাসবাদী নিধন করা হয় বলে প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা যায়।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ভারতের উপর পাল্টা হামলা শুরু করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তৈরি হয় উত্তেজনার পরিবেশ। এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়ায় তুর্কি, চীন ও আজারবাইজান। কূটনৈতিকভাবে এবং সম্ভাব্য রসদ সহায়তা দিয়ে তারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়, যা ভারতীয় জনসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।

এই পরিস্থিতিতে আজ আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের ত্রিপুরা শাখার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান-সমর্থক দেশগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাঁরা তুর্কি, চীন ও আজারবাইজানে তৈরি পণ্যের বয়কটের ডাক দেন এবং সাধারণ মানুষকে ওই দেশগুলোতে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভস্থলে স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের এক সদস্য বলেন,
“যে দেশগুলো আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ায়, তাদের পণ্য ব্যবহার করাও একধরনের অন্যায়। আজ আমাদের সময় এসেছে — আত্মনির্ভরতার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার।”
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। দেশপ্রেম ও স্বনির্ভর ভারতের পক্ষে এই ধরণের গণআন্দোলন ভবিষ্যতে আরও তীব্র আকার নিতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে তুর্কি, চীন ও আজারবাইজানের প্রকাশ্য অবস্থান ভারতীয় জনতার মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘স্বদেশী’ চেতনা ও বিদেশি পণ্য বর্জনের আন্দোলন নতুন মাত্রা পাচ্ছে, যার প্রভাব ভবিষ্যতের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কেও পড়তে পারে।