
তেলিয়ামুড়ার প্রতিনিধিঃ খোয়াই-তেলিয়ামুড়া সড়কের বটতলা এলাকায় সম্প্রতি নজরে এসেছে এক ব্যতিক্রমী ও উদ্বেগজনক ঘটনা। তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত জরুরি পরিষেবার একটি গাড়ি—নম্বর “টি.আর.০১-ই-০৯৭৯”—মাঝ রাস্তায় হঠাৎ করেই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। যদিও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাড়ি বিকল হওয়া অস্বাভাবিক নয়, তবে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশাসনিক যানবাহন রাস্তায় এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে থাকা সত্যিই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণ মানুষের একাংশের প্রশ্ন, থানার মতো জরুরি পরিষেবা যাদের দায়িত্বে, তাদের নিজস্ব গাড়ি যদি খোলা আকাশের নিচে, রাস্তায় পড়ে থাকে—তবে প্রশাসনিক দায়িত্ববোধ ঠিক কোথায়? বিস্ময়ের বিষয়, এই গাড়িটি বিকল হওয়ার পরও কোনো গ্যারেজে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং খোলা মাঠে, জনসমক্ষে ফেলে রাখা হয়েছে তা, যা গাড়িটির নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, গাড়িটি এভাবে রাস্তায় পড়ে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে এর মূল্যবান যন্ত্রাংশ বা যান্ত্রিক সামগ্রী চুরি হয়ে যেতে পারে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তেলিয়ামুড়া থানা এলাকায় চুরি সহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের ঘটনা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এমতাবস্থায়, পুলিশের নিজস্ব গাড়ি নিরাপদ নয় বলেই যদি প্রতীয়মান হয়, তবে সাধারণ মানুষের সম্পদের নিরাপত্তা কতটা সুনিশ্চিত—সেই প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে।
এছাড়াও, যেহেতু থানায় গাড়ি সংকট বিরাজমান, সেই প্রেক্ষিতে একটি কর্মক্ষম গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকা মানে পুলিশি টহল এবং জরুরি সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া—এটি অস্বীকার করার উপায় নেই।
স্থানীয় এক প্রবীণ নাগরিক বলেন, “যদি থানার গাড়ির এমন অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে? প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত, বিকল হয়ে পড়ে থাকা গাড়িটি এখনো বটতলা এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবেন, যাতে সাধারণ মানুষকে ভবিষ্যতে এমন দায়িত্বহীনতার কারণে ভোগান্তির শিকার না হতে হয়।
একদিকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি, অন্যদিকে পুলিশ বাহিনীর সম্পদের এমন অযত্ন—সব মিলিয়ে প্রশাসনিক দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বৈকি। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টির সমাধানে এগিয়ে আসেন।
