
আগরতলা, ত্রিপুরাঃ বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকে তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সার্বিক কার্যক্রম, বাজেট বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী সুধাংশু দাস। বৈঠকে দপ্তরের বিভিন্ন আধিকারিক, পরিকল্পনাবিদ, ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই পর্যালোচনা বৈঠকে মূলত ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়গুলির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাজেটের আওতায় যেসব প্রকল্প ও স্কিম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সেগুলিকে কীভাবে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এবং যাতে তার সুফল তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছানো যায়, সেই বিষয়ে বিশদে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উঠে আসে বিভিন্ন জেলার প্রকল্পগুলির বর্তমান অগ্রগতির রিপোর্ট। একইসঙ্গে অর্থবছরের বাকি সময়ে দপ্তরের মাধ্যমে কী কী কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে, তারও একটি খসড়া রূপরেখা তৈরি করা হয়। বিশেষত আগামী ১০০ দিনের মধ্যে দপ্তর কী কী প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেবে, সে সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।
মন্ত্রী সুধাংশু দাস এই বৈঠকে বলেন, “তপশিলি জাতির উন্নয়নের জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। বাজেটের প্রতিটি পয়সা যেন সঠিক খাতে ব্যয় হয় এবং বাস্তব উন্নয়ন মানুষের জীবনে প্রতিফলিত হয় – সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”
বৈঠকে আলোচিত কিছু প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে ছিল:
- শিক্ষা সহায়তা ও স্কলারশিপ প্রকল্পের দ্রুত রূপায়ণ,
- আবাসন এবং পয়ঃনিষ্কাশন সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়ন,
- স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প,
- তপশিলি জাতি অধ্যুষিত এলাকায় স্বাস্থ্য ও পানীয় জল সরবরাহ উন্নয়ন,
- কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন।
এই বৈঠকের মাধ্যমে সরকারের নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তপশিলি সম্প্রদায়ের সার্বিক কল্যাণে একটি সুসংহত ও লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।