
ত্রিপুরা, নিউজ ডেক্সঃ ঋষ্যমুখ কৃষিদপ্তরের তত্বাবধায়ক সুজিত কুমার দাস এলাকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ আলোচনাসভা আয়োজন করেন। এ সভায় কৃষকদের জন্য তরমুজ চাষের গুরুত্ব ও কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

এসময় সুজিত কুমার দাস বলেন, “ঋষ্যমুখ এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। অতীতে এখানকার কৃষকরা ধানচাষ ও সব্জী চাষের দিকে বেশি মনোযোগ দিতো। তবে বর্তমানে আমি কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন ফলের চাষের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি। এর মধ্যে তরমুজ চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।”
কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য
সুজিত কুমার দাস আরও জানান, “আমাদের মূল লক্ষ্য হল কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা। তরমুজ চাষের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেতে পারেন। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করছি, যাতে তারা আরও বেশি উৎপাদন করতে পারেন।”
রতনপুর কমিউনিটি হলে কর্মশালা
আজকের কর্মশালাটি ঋষ্যমুখ কৃষিদপ্তরের উদ্যোগে রতনপুর কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এলাকার কৃষকদের তরমুজ চাষ বিষয়ে সঠিক তথ্য ও কৌশল শেখানো হয়। কর্মশালায় কৃষকদের জানানো হয় কিভাবে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে তরমুজ চাষ করে তারা নিজেদের আয় বাড়াতে পারে। এ ছাড়াও, কৃষকদের বীজ ও সার প্রদান করা হয়।

সরকারি সহায়তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সুজিত কুমার দাস বলেন, “ঋষ্যমুখ কৃষিদপ্তর কৃষকদের জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। আমরা সকল কৃষকদেরকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহ করব, যাতে তারা ভালো ফলন পায় এবং তাদের আয় বৃদ্ধি হয়।” তিনি আরও বলেন যে, “কৃষকরা যদি তরমুজ চাষে সফল হয়, তবে এটি তাদের জীবিকা উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।”
কৃষকদের জমি পরিদর্শন
কর্মশালার পর সুজিত কুমার দাস ও কৃষিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা রতনপুর এডিসি ভিলেজের তরমুজ চাষি কৃষকদের জমি পরিদর্শন করেন। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা ইতিমধ্যেই তরমুজ চাষ শুরু করেছেন, এবং তাদের জমির অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সুজিত কুমার দাসের বক্তব্য
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুজিত কুমার দাস বলেন, “আজকের কর্মশালার মাধ্যমে আমরা কৃষকদের জানাতে পেরেছি, কিভাবে তারা তরমুজ চাষের মাধ্যমে নিজেদের জীবনমান উন্নত করতে পারে। কৃষকরা এখন আমাদের সকল সহায়তা পাবেন এবং তাদের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।”
ঋষ্যমুখ কৃষিদপ্তরের এই উদ্যোগে এলাকার কৃষকরা আশাবাদী যে, তরমুজ চাষের মাধ্যমে তারা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।