
নিউজ ডেস্কঃ ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘর এলাকায় শিক্ষিকা হৈমন্তী সিংহ বর্মনের নির্মম হত্যা মামলার তদন্তে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মৃতার পরিবার। ২৮ জানুয়ারি, সোমবার, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় অধিকার সংগঠনগুলো ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছে। তারা দাবী জানিয়েছেন, হত্যা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং অভিযুক্ত স্বামী মৃণাল কান্তি বর্মনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের তদন্তে দ্বিচারিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা মনে করছেন, অভিযুক্ত স্বামী মৃণাল কান্তি বর্মন বর্তমানে গ্রেপ্তার না হওয়ায় প্রমাণ ধ্বংসের সুযোগ পাচ্ছে। পরিবারটির বক্তব্য, পুলিশ হত্যাকাণ্ডের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে অবহেলা করছে, যার কারণে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন কঠিন হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে মেলাঘরের বাসায় হত্যা করা হয় ৩৮ বছর বয়সী হৈমন্তী সিংহ বর্মনকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। নিহতের পিতা রবীন্দ্র সিংহ এবং অন্যান্য আত্মীয়রা একে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করেছেন এবং তদন্তের স্বচ্ছতা ও দ্রুততার জন্য তারা সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
এদিকে, ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশন তদন্তের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রাথমিকভাবে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে যেন দ্রুত তদন্ত শেষ করে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি পুলিশ সন্দেহজনক কোনো পক্ষকে যথাযথভাবে গ্রেপ্তার না করে, তবে কমিশন আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
তবে, পুলিশ জানিয়েছে যে মৃণাল কান্তি বর্মনকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে, জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সোচ্চার হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত মৃণাল কান্তি বর্মনের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, তবে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতের দেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ফরেনসিক রিপোর্ট আসার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা এবং নিহতের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে আরও স্পষ্ট অভিযোগ জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। তারা আশা করছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে মৃণাল কান্তি বর্মনকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে।
তদন্তের বিষয়ে আরও আপডেট আসার পর খবরটি আরো বিস্তারিত জানানো হবে।