২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, আগরতলাঃ শহরের অটো চালকদের মধ্যে একটি গুরুতর অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি, জিবি থেকে বনিক্য চৌমুনী পর্যন্ত রুটে পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ অটো চালকরা বিটি কলেজ মাঠে একত্রিত হয়ে এক বিশাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন, যেখানে তারা পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পারমিট দেওয়ার অভিযোগ তুলেন। অটো চালকদের অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে পারমিট দেওয়ার জন্য পরিবহন দপ্তর নিয়ম মেনে কাজ করছে না এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নতুন অটো চালকদের পারমিট প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে, পুরানো ও বৈধ অটো চালকদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে, যার প্রভাব তাদের জীবনযাত্রার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিটি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অটো চালক বাবুল মিয়া সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, “আমরা কয়েকদিন ধরে দেখছি যে, পরিবহন দপ্তর নতুন অটো চালকদের অবৈধভাবে পারমিট দিচ্ছে, অথচ আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করছি, তাদের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এতে আমাদের জীবিকা সংকটে পড়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে আমরা আমাদের পরিবারকে কীভাবে চালাবো, তা ভাবতেও পারছি না।” বাবুল মিয়া আরও জানান, “আমরা বহু বছর ধরে শহরের রাস্তায় অটো চালিয়ে নিজের এবং আমাদের পরিবারের জন্য রুজি রোজগার করেছি। কিন্তু এখন আমাদের সামনে নতুন অটো চালকদের আবির্ভাব, যারা অবৈধভাবে পারমিট পেয়ে রাস্তায় চলে আসছে। এর ফলে আমাদের মধ্যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এবং আমরা প্রতিদিনই আতঙ্কিত।” বিক্ষোভের মাঝে অটো চালকদের প্রতিনিধি দল পরিবহন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন এবং অবিলম্বে এই দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। তারা বলেন, “আমাদের দাবি একটাই, অবৈধ পারমিট প্রদান বন্ধ করা হোক এবং যে সমস্ত চালকরা বৈধভাবে পারমিট পেয়েছেন, তাদের কর্মসংস্থানের জন্য কোনো ধরনের হুমকি যেন না আসে।” এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিক্ষোভে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে, তবে অটো চালকদের মধ্যে ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হয়নি। তারা দাবি করেন যে, এই ধরনের দুর্নীতির কারণে তাদের জীবিকার ওপর কড়া আঘাত আসবে এবং এর সমাধান না হলে তারা আরো বৃহত্তর আন্দোলন করবেন। এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন এবং পরিবহন দপ্তর এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং দ্রুত সমাধান আনতে উদ্যোগী হয়েছে। তবে, অটো চালকদের মতে, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে, তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন, যা শহরের পরিবহন ব্যবস্থাকে বড় ধরনের বিপদে ফেলতে পারে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের আন্দোলন শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, যা শহরের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকেও প্রভাবিত করবে। পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায়, তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্পষ্ট হবে।
TSF’র রোমান স্ক্রিপ্টের দাবিতে মহাকরনে বিক্ষোভ, পুলিশ আটক করে এডি নগর পুলিশ লাইন মাঠে নিয়ে যায়।
আগরতলা,১৫ জানুয়ারী ২০২৫ঃ…
Read more