বামুটিয়া, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ঃ মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বামুটিয়ায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার বামুটিয়া বিধানসভার মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন হয় এবং নতুন মণ্ডল সভাপতি হিসেবে শিবেন্দ্র দাসের নাম ঘোষণা হয়। তবে, এই পরিবর্তনটি কিছু মানুষের কাছে সহ্য হওয়া সম্ভব হয়নি, বিশেষ করে প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি কাজল দে এবং তার সমর্থকদের মধ্যে। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি কাজল দে’র নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা বামুটিয়া মণ্ডলের দক্ষিণ রামনগর জয় সংঘ ক্লাব দখল করতে শুরু করে এবং গত রাতে এটি একটি বৃহত্তর সমস্যা
রূপে দেখা দেয়। কাজল দে এবং তার গোষ্ঠী, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, তারা জয় সংঘ ক্লাব দখলের পাশাপাশি বোমাবাজিতে লিপ্ত হয়। বিগত কয়েক মাসে, বামুটিয়া এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতির সমর্থকদের কাছে এ পরিবর্তন মেনে নেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ঘটনার পর, ১০ নং শক্তি কেন্দ্র ইনচার্জ উৎপল দাস জানান যে, রাতের বোমাবাজি তাঁর বাড়ির দিকে লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল। উৎপল দাস সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিস্তারিত জানান, “বৃহস্পতিবার রাতে, নতুন মণ্ডল সভাপতির শিবেন্দ্র দাসের নিয়োগের পর, প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি কাজল দে ও তার দলবলের দ্বারা হামলা চালানো হয়, যা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।” এছাড়া, ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হাতছাড়া হওয়ার জন্য কাজল দে গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত সরকার সেখানে ভোট হারানোর জন্য কাজল দে’র দলকেই
অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামুটিয়া এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে নেমেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরো ঘটনার তদন্তে মনোনিবেশ করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে, স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন এবং তার পরবর্তী সহিংস ঘটনাগুলি বামুটিয়া অঞ্চলের
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তারা দ্রুততম সময়ে আসল দোষীদের চিহ্নিত করবে এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। এই ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে, এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় নেতারা।