নিউজ স্ক্রিপ্ট: বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় এবং তাদের আস্থা-কেন্দ্রগুলির ওপর লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদান এবং হিংসা দমন করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে প্রতিদিনই মিডিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলা এবং হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের খবর আসছে। এসব ঘটনার মধ্যে গতকাল, সোমবার, একটি বিতর্কিত গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে, যা নতুন করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ইসকনের প্রমুখ ধর্মগুরু প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সোমবার বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেফতার করে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে একটি মিথ্যা দেশদ্রোহিতার অভিযোগে, এক মাস আগের একটি ঘটনার ভিত্তিতে, কোন প্রকার ওয়ারেন্ট ছাড়াই ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইসকন বাংলাদেশের প্রমুখ এই ধর্মগুরু সনাতন সংস্কৃতির উত্থানে নিয়োজিত ছিলেন এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানবতার খাতিরে ইসকনসহ একাধিক হিন্দু সংস্থা সামাজিক বিভেদ ছাড়াই মানুষের সেবা করেছেন। প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ইসকনের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার অংশ বলে মনে হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত আধ্যাত্মিক এবং মানবতাবাদী সংগঠনগুলোকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি শুধু মানবতার বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো মানবজাতির বিরুদ্ধে একটি নিষ্ঠুর উপহাসের মতো। বাংলাদেশে ইসকনের ৭৭টিরও বেশি মন্দির রয়েছে এবং প্রায় ৫০,০০০ মানুষ এই সংগঠনের সাথে যুক্ত। এটি একটি শান্তিপূর্ণ, অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন যা সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং মানবকল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করে। ইসকন একটি ভক্তি আন্দোলন যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সক্রিয় এবং মানবতার সেবা ও ভক্তির প্রচারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এমন একটি শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন এবং অপমানজনক। তবে, প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে জেলে পুরে দেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারের নির্দিষ্ট পক্ষপাত এবং সহিংসতার কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর অস্ত্রসহ হামলা চালানো হচ্ছে, যা আরও একবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এখন সময় এসেছে, বাংলাদেশ সরকারকে এই ধরনের কট্টরপন্থী সংগঠনগুলির হাত থেকে ইসকনের মতো মানবতাবাদী সংগঠনকে রক্ষা করতে। তবে, রাজনৈতিক কারণে সরকার এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অক্ষম হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে, যাতে তারা প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেয় এবং তার বিরুদ্ধে সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে। এছাড়া, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় এবং তাদের মন্দিরগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আরও দাবি করেছে, যাতে তারা নিশ্চিত করে যে সংখ্যালঘুদের জন্য একটি সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি হয়, যাতে তারা নিজেদের বাড়িতে নিরাপদ এবং বিচলিত না হয়ে বসবাস করতে পারে। আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর যে ধরনের অত্যাচার চালানো হচ্ছে, তা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশের সরকারকে অবিলম্বে তাদের সুরক্ষা প্রদান করে তাদের একটি সম্মানজনক জীবন যাপন করার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। আমরা ভারত সরকারকে এই ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
বীর বিক্রম কলেজ অফ ফার্মেসি আয়োজন করল “নবরং ২০২৪” অনুষ্ঠান, যেখানে স্টেপ আপ ওয়েস্টার্ন ডান্স একাডেমির মুগ্ধকর পারফরম্যান্স।
“নবরং ২০২৪” অনুষ্ঠান,
Read more