আগরতলা, ২০ নভেম্বর ২০২৪ঃ বন দপ্তরের ৩৬৩ জন পার্মানেন্ট লেবার, যারা প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে নিজেদের সেবায় নিয়োজিত, আজ একদিনের কর্ম বিরতিতে বসেছেন। তাদের দাবি, দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার পরেও তারা এখনও সরকারি স্কেল পায়নি। তারা জানিয়েছে, সাত বছর আগে ফাইনান্স বিভাগের এপ্রুভাল পেয়ে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত তারা সরকারি স্কেল থেকে বঞ্চিত। সাধারণত পার্মানেন্ট লেবারদের জন্য সরকারি স্কেল এবং সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা। বন দপ্তরে কর্মরত এই শ্রমিকরা এখন মাসে মাত্র বারো হাজার টাকা আয় করেন, যা দিয়ে তাদের পরিবারের জীবিকা চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে, বন দপ্তরের একাধিক কর্মী জানান, “আমরা এত বছর ধরে কাজ করছি, কিন্তু এখনও কোন সরকারি সুবিধা বা স্কেল পাইনি। বারো হাজার টাকা আমাদের মাসিক আয়ের পরিমাণ। এই টাকায় পরিবার চালানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমরা বারবার মন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত সবাইকে আবেদন করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সদুত্তর পাইনি।” তাদের এই অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজ তারা একদিনের কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে তাদের জন্য সরকারি স্কেল কার্যকর করা হোক এবং তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। এই শ্রমিকরা সরকারের কাছে তাদের অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। এ বিষয়ে বন দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।” তবে, কর্মীরা মনে করেন, সরকারের আশ্বাসের মধ্যে কোনও কার্যকরী পরিবর্তন আসেনি, যার কারণে তারা আজ কর্ম বিরতিতে গেছেন। এখন দেখা উচিত, বন দপ্তরের এই লেবারদের দাবির প্রতি সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নেয় এবং তাদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না।
দাবি:
১. অবিলম্বে পার্মানেন্ট লেবারদের জন্য সরকারি স্কেল প্রদান করা হোক।
২. বর্তমান পরিস্থিতিতে যে ক্ষুদ্র আয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন, তা বেড়ে ৩০,০০০ টাকার মধ্যে নিয়ে আসা হোক।
৩. ফাইনান্সের এপ্রুভাল পেয়ে যাওয়ার পর ৭ বছরেও কেন স্কেল বাস্তবায়িত হয়নি, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রদান করা হোক।