রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাবণ বধ অনুষ্ঠান; শান্তির বাজার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় মাঠে কাল সন্ধ্যায় দর্শনার্থীদের ভিড়ে জমজমাট হতে চলেছে দশমীর এই বিশেষ আয়োজন।
শান্তির বাজারে, ত্রিপুরা । ১ অক্টোবর ২০২৫ঃ ত্রিপুরার শান্তির বাজারে এবারও দক্ষিণ বাজার পূজা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দশমীর বিশেষ আকর্ষণ রাবণ বধ অনুষ্ঠান। আগামীকাল অর্থাৎ দুর্গা পূজার দশমী তিথিতে, সন্ধ্যা ৭টা থেকে এই নাটকীয় ও দর্শনীয় অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে শান্তির বাজার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের মাঠে।
রাবণ বধ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মাঠজুড়ে চলছে আলোকসজ্জা, কাঠামো তৈরির কাজ, নিরাপত্তা ও দর্শকসভার ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত আয়োজকেরা। বিশালাকৃতির রাবণের কৃত্রিম মূর্তি তৈরি করা হয়েছে, যা দশমীর দিন আগুন দিয়ে ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রতীকী ‘অসুরের বিনাশ’।
দক্ষিণ বাজার পূজা কমিটির তরফে জানা গেছে, ২০১৮ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকেই শান্তির বাজার এলাকায় এই রাবণ বধ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তখন থেকেই প্রতিবছর পূজার দশমীতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এটি এলাকাবাসীর জন্য এক প্রতীক্ষিত ও জনপ্রিয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে পূজা কমিটির সদস্য সুজন সরকার সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন—
“আমাদের উদ্দেশ্য শুধু দুর্গাপূজা উদযাপন নয়, বরং সমাজকে নৈতিক শিক্ষা দেওয়া, এবং একটি সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা। রাবণ বধের মাধ্যমে আমরা চাই সকল মানুষ বুঝুক যে, অন্যায়, অহংকার, ও অশুভ শক্তির পরিণতি অবধারিত ধ্বংস।”
তিনি আরও জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও ব্যাপক প্রস্তুতির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি সফল করতে কাজ করে চলেছেন কমিটির সদস্যরা। দর্শকদের জন্য পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা মাথায় রেখে কাজ চলছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় আয়োজনটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রস্তুত দক্ষিণ বাজার পূজা কমিটি।
এই রাবণ বধ অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণরাও প্রতিবছর অংশগ্রহণ করে থাকেন। রাবণের বিশালাকৃতির কুশপুত্তলিকা তৈরি ও তা ধ্বংসের মধ্য দিয়ে পূজা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন হিসেবে গড়ে উঠেছে এই অনুষ্ঠান।








