গোমতীর নতুন মিল্ক পার্লার নারায়নপুরে উদ্বোধন—আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে গৃহীত আরেক সাহসী পদক্ষেপ।
নারায়নপুর, আগরতলা। ১৪ জুলাই ২০২৫ঃ আজ, ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার এয়ারপোর্ট রোড সংলগ্ন নারায়নপুর বাজারে এক আনন্দঘন ও গৌরবময় পরিবেশে গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার ইউনিয়ন লিমিটেডের ১৪ নম্বর মিল্ক পার্লারের নতুন কাউন্টারের শুভ উদ্বোধন সম্পন্ন হলো।
এই উদ্বোধন করেন গোমতীর সম্মানীয় চেয়ারম্যান শ্রী রতন ঘোষ। তাঁর নেতৃত্বে এই নতুন উদ্যোগ গোমতীর সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করল।

এই নতুন কাউন্টার চালুর মাধ্যমে, গোমতী শুধুমাত্র তার পরিসেবা সম্প্রসারণ করল না—বরং আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল।
উল্লেখযোগ্য যে, যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির ‘নতুন ভারত’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নির্মাণের যে অভিপ্রায়, গোমতীর এই পদক্ষেপ তারই প্রতিফলন।
গোমতী কো-অপারেটিভ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য সরবরাহ করে আসছে। নতুন এই কাউন্টারটির মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দারা এখন আরও সহজে এই পণ্যসমূহ গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে যেমন ভোক্তারা লাভবান হবেন, তেমনি উপকৃত হবেন রাজ্যের দুধ উৎপাদক কৃষকরাও।
চেয়ারম্যান রতন ঘোষ আজকের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,
“আমরা শুধু একটি নতুন কাউন্টার চালু করছি না; আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করছি। উন্নতমানের দুগ্ধজাত পণ্য যাতে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আত্মনির্ভর ভারতের পথে গোমতী যে ভূমিকা পালন করছে, তা আমরা আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাই। আমরা চাই, রাজ্যের যুবসমাজ এগিয়ে আসুক, আমাদের সঙ্গে যুক্ত হোক। যারা এজেন্ট হতে ইচ্ছুক, তারা যেন দেরি না করে আজই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।”
তিনি আরও জানান, গোমতীর প্রতিটি পণ্যে গুণগত মান ও পুষ্টিগুণের প্রতি সর্বোচ্চ নজর রাখা হয়। তাই সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ যেন গোমতীর প্রতি আস্থা রাখেন, সেই বার্তাও দেন তিনি।
এই শুভক্ষণে গোমতী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি সামাজিক আবেদন জানানো হয়—
রাজ্যবাসী, বিশেষ করে যুব সমাজ যেন আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে এবং গোমতীর এই সামাজিক ও অর্থনৈতিক যাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার ইউনিয়ন লিমিটেড আজ শুধুমাত্র একটি দুধ কোম্পানি নয়—বরং একটি সামাজিক দায়িত্ববান প্রতিষ্ঠান, যা কৃষক, ভোক্তা ও সমাজের মধ্যে এক সেতুবন্ধন তৈরি করে চলেছে।
এই নতুন কাউন্টার যেন নারায়নপুর ও তার আশেপাশের জনগণের জন্য শুধু এক বিক্রয়কেন্দ্র নয়, বরং একটি আস্থা ও আত্মনির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠুক—এই কামনায় অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।








