
তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশানে আধুনিক চুল্লির উদ্বোধন পর শবদাহ প্রক্রিয়া শুরু, স্বস্তিতে জনতা
তেলিয়ামুড়া, ত্রিপুরা ২৭ মে ২০২৫; প্রতিবেদক: মৃণময় রায়ঃ তেলিয়ামুড়া মহাশ্মশান ঘাটে বহু প্রতীক্ষিত বৈদ্যুতিক চুল্লিতে অবশেষে শবদাহ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এই উদ্যোগের ফলে তেলিয়ামুড়া মহকুমার সাধারণ মানুষ এখন থেকে আরও দ্রুত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে শবদাহ সম্পন্ন করতে পারবেন। ২১শে মে থেকে এই ইলেকট্রিক চুল্লি চালু হওয়ার পর স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, নেতাজিনগর এলাকায় অবস্থিত এই মহাশ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় এবং তেলিয়ামুড়া পুরপরিষদের চেয়ারম্যান রূপক সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা এই ইলেকট্রিক চুল্লির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
তবে উদ্বোধনের পরপরই বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও আধুনিক জেনারেটরের অনুপস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন এই চুল্লিটি জনসাধারণের ব্যবহারের বাইরে ছিল। এই সমস্যা সমাধানে আবারও সক্রিয় হন বিধায়িকা ও পুরপরিষদ চেয়ারম্যান। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মহাশ্মশান ঘাটে একটি আধুনিক, শক্তিশালী জেনারেটর স্থাপন করা হয় এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজও সম্পন্ন করা হয়।
ফলস্বরূপ, গত ২১ মে থেকে নতুন ইলেকট্রিক চুল্লি ব্যবহার করে শবদাহ শুরু হয়েছে। আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি দ্রুত, নিরাপদ এবং সুষ্ঠুভাবে এই কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি বড় স্বস্তির বিষয়। পূর্বে যেখানে কাঠ দিয়ে শবদাহ করতে গিয়ে বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হতো, এখন সেই প্রক্রিয়া অনেক সহজ ও পরিবেশবান্ধব হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই উন্নয়নের জন্য বিধায়িকা কল্যাণী সাহা রায় এবং চেয়ারম্যান রূপক সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এই উদ্যোগ সত্যিই এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।
এই প্রকল্প কেবল একটি শবদাহ প্রক্রিয়াকে আধুনিকীকরণ নয়, বরং এটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন — যেখানে মৃতদের শেষকৃত্যও সম্মানের সাথে, পরিবেশ সচেতনতাকে বজায় রেখে, আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পন্ন করা যায়।
সার্বিকভাবে এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে তেলিয়ামুড়া মহকুমায় তৈরি হয়েছে আশার আলো ও প্রগতির বার্তা।