
আগরতলা, ত্রিপুরা, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ঃ – ত্রিপুরা রাজ্যের ব্যবসায়িক জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত শ্রী রতন দেবনাথ আবারও তাঁর কর প্রদানের মাধ্যমে সেই মর্যাদা প্রমাণ করলেন। ২০২৪-২৫ সালের শ্রেষ্ঠ করদাতা পুরস্কারটি তিনি লাভ করেন তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠিত সংস্থা, মেসার্স সোভা এন্টারপ্রাইজ-এর পক্ষ থেকে। এই পুরস্কারটি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল প্রজ্ঞা ভবনে অনুষ্ঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ জিএসটি সচেতনতা অভিযানে, যা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড:) মানিক সাহার উদ্বোধনে আয়োজিত হয়েছিল।
শ্রী রতন দেবনাথের ব্যবসায়িক জীবনের এক উজ্জ্বল দিক হলো, তিনি প্রায় প্রতি বছরই এই শ্রেষ্ঠ করদাতা পুরস্কার লাভ করছেন। একাধিক সংস্থা পরিচালনা করার পরেও তিনি কখনও মেসার্স সোভা এন্টারপ্রাইজের, কখনও অন্নদা স্পাইস ইন্ডাস্ট্রিজের, আবার কখনও অন্নদা ফার্টিলাইজার্স অ্যান্ড অ্যাগ্রো কেমিক্যালসের জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর এই ধারাবাহিক সাফল্য ব্যবসায়িক জগতে অন্যদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
ত্রিপুরা সরকারের অর্থ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর প্রদানের গুরুত্ব ও দায়িত্ব তুলে ধরা এবং তাদের মধ্যে কর প্রদানে উৎসাহ বৃদ্ধি করা। সরকার আশা করছে, এই ধরনের উদ্যোগে সাধারণ ব্যবসায়ীরা কর প্রদানে আগ্রহী হবে এবং রাজ্য অর্থনীতির উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড:) মানিক সাহা, এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী মাননীয় প্রাণজিত সিংহা। ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা শ্রী রতন দেবনাথের হাতে শ্রেষ্ঠ করদাতা পুরস্কারটি তুলে দেন। এই সময় শ্রী দেবনাথ তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “এটি শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং আমার সংস্থার প্রতিটি কর্মীর কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ। আমি এই পুরস্কারটি পেয়ে অত্যন্ত গর্বিত এবং সম্মানিত।”
এছাড়া, শ্রী দেবনাথ রাজ্য সরকারকে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “রাজ্য সরকার যে এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর প্রদানের সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং আমাদের রাজ্যকে আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি আশা করি, ভবিষ্যতেও এই ধরনের উদ্যোগ চলতে থাকবে।”
এখনো পর্যন্ত, শ্রী দেবনাথের প্রতিষ্ঠান এবং তার কর্মী বাহিনী এই পুরস্কারের জন্য আনন্দিত এবং তারা আশা করছে যে, ভবিষ্যতে আরও ব্যবসায়ীরা এই ধরনের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন, যা রাজ্যের উন্নতির পথে একটি বড় পদক্ষেপ হবে।