
বিশালগড়, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: সোমবার সকালে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের কোয়াটার থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক শ্রীনিবাস সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন যে এটি একটি পরিকল্পিত খুন। পরিবার এবং প্রতিবেশীরা সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

মৃত শ্রীনিবাস সরকারের বাড়ি আমতলী কুড়িপুকুর এলাকায়। তার পিতা ছিলেন স্বর্গীয় লোকচন্দ্র সরকার। প্রায় সাত বছর আগে তিনি বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে এম্বুলেন্স চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী এবং একটি ছোট সন্তান রয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী, গত রাতে শ্রীনিবাস সরকার বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল থেকে রোগী রেফার করে আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে পৌঁছে ছিলেন। কিন্তু সোমবার সকালে, আবার রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময়, যখন তাকে ডাকলে তিনি কোনো সাড়া দেননি। পরে, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মীরা কোয়ার্টারের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পান যে বিছানার উপর পড়ে আছেন।
চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে শ্রীনিবাস সরকার মারা গেছেন। এই খবর পেয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এদিকে, শ্রীনিবাস সরকারের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন। তাদের মতে, এটি শুধুমাত্র একটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুন হতে পারে। তার স্ত্রী জানিয়েছেন, যদি পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করে, তাহলে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শ্রীনিবাস সরকার উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন এবং তিনি নিয়মিতভাবে তার প্রেসার কমানোর ট্যাবলেট গ্রহণ করতেন। তবে, পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন যে শ্রীনিবাসের মৃত্যুর পেছনে কিছু অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকতে পারে।
এদিকে, বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সবাই এখন অধীর আগ্রহে ময়না তদন্তের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে আছেন। রিপোর্টের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের শোকাহত পরিবেশে, চিকিৎসক এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সঠিক তদন্তের আশ্বাস পাওয়ার পর, এলাকাবাসী ও পরিবার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।