
২৫ নভেম্বর ২০২৪,: ভারতীয় কৃষির উন্নতির উদ্দেশ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় “ন্যাশনাল পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক অন এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং” শিরোনামে এক খসড়া নীতি প্রকাশ করেছে। তবে, এই খসড়া নীতির বিরুদ্ধে নানা ধরনের মন্তব্য উঠেছে, যার মধ্যে একটি শক্তিশালী মতামত এসেছে কৃষকদের অধিকার রক্ষা করার দাবিতে সক্রিয় সংগঠন এআইকে কেএমএস-এর পক্ষ থেকে।
এআইকে কেএমএস-এর মতে, এই খসড়া নীতি ভারতীয় কৃষকদের বর্তমান সংকটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং এতে কৃষকদের বাস্তব সমস্যা, যেমন কৃষি উপকরণের অস্বাভাবিক দাম, ঋণের বোঝা, এবং কৃষক আত্মহত্যার বিষয়গুলির কথা উল্লেখ করা হয়নি। সংগঠনটি দাবি করেছে, এই নীতির খসড়া বাস্তবতার সঙ্গে সম্পূর্ণ অমিল, যেখানে কৃষকদের বিপুল সংখ্যক সমস্যার কথা ভুলে যাওয়া হয়েছে।
এআইকে কেএমএস আরও জানিয়েছে যে, খসড়া নীতির মধ্যে “কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম দেওয়া” বলার পরেও, সরকারের নির্ধারিত এমএসপি (মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস) আইন সংগত করার প্রস্তাব রাখার বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে। কৃষকরা দাবি জানিয়ে আসছে যে, তাদের ফসলের দাম অন্তত উৎপাদন খরচের দেড়গুণ (C2 + 50%) হওয়া উচিত এবং সরকার সেই দাম দিয়ে ফসল কিনে সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রি করুক।
এআইকে কেএমএস-এর আরও এক গুরুতর অভিযোগ হলো, এই খসড়া নীতির মাধ্যমে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে, যা কৃষক, কৃষি শ্রমিক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করবে। সংগঠনটি মনে করে, সরকার যদি এই খসড়া নীতি কার্যকর করে, তাহলে দেশের কৃষি উৎপাদন এবং বিপণন ব্যবস্থার স্বাভাবিক কাঠামোটি ধ্বংস হয়ে যাবে।
এআইকে কেএমএস এই খসড়া নীতির বাতিল দাবি করেছে এবং সরকারের কাছে নতুন একটি খসড়া নীতি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে নিম্নলিখিত দাবিগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে:
এআইকে কেএমএস-এর দাবি:
- এমএসপি আইন সংগত করে সরকারকে কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদন খরচের দেড় গুণ (C2 + 50%) দামে ফসল কিনতে হবে।
- কৃষকের সমস্ত ঋণ মকুব করতে হবে।
- সস্তা দামে কৃষককে সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।
- MGNREGA আইনে জব কার্ড ধারীদের বছরে ২০০ দিনের কাজ ও ৬০০ টাকা দৈনিক মজুরি দিতে হবে।
- বিদ্যুৎ বিল ২০২৩ বাতিল করতে হবে এবং স্মার্ট মিটার চালু করা চলবে না।
- ৬০ বছরের বেশী সমস্ত কৃষক ও ক্ষেত মজুরদের মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে।