আগরতলা, ১১ নভেম্বর ২০২৪: ত্রিপুরা সরকারের প্রাণী বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে আজ অনুষ্ঠিত হল দ্বিতীয় রিভিউ মিটিং, যেখানে দপ্তরের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ে বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ত্রিপুরা সরকারের প্রাণী বিকাশ মন্ত্রী উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করেন যে, যুবকদের কর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে দপ্তর পূর্ণ সহযোগিতা করবে এবং এই উদ্দেশ্যে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মিটিংয়ের শুরুতেই প্রাণী বিকাশ মন্ত্রী উপস্থিত সকল কর্মকর্তাকে স্বাগত জানান এবং তাদের কাজের মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, “প্রাণী বিকাশ দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তর, যা শুধুমাত্র প্রাণী সংরক্ষণ বা উন্নয়নের কাজ করে না, বরং রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে বেকার যুবকদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে, যাতে তারা নিজেদের কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।” এ সময় প্রাণী বিকাশ মন্ত্রী আরও বলেন, “ত্রিপুরা সরকার বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুবকদের জন্য প্রশিক্ষণ, লোন এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা হবে, যাতে তারা তাদের নিজস্ব উদ্যোগে সফল হতে পারে। সরকার সমস্ত ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে তারা প্রাথমিকভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে এবং পরবর্তীতে বড় উদ্যোগে পরিণত হয়।” মিটিংয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়, যার মধ্যে ছিল প্রাণী পালন, দুগ্ধ উৎপাদন এবং মাংস শিল্পের উন্নয়নে নতুন সুযোগ সৃষ্টি। মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরও আধুনিক প্রযুক্তি এবং দক্ষতার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। যুবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে, যেখানে তারা আধুনিক প্রাণী পালন পদ্ধতি এবং অন্যান্য দক্ষতা শিখতে পারবে।” এছাড়াও, মিটিংয়ে বেকার যুবকদের জন্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা যেমন ক্ষুদ্র ঋণ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মন্ত্রী বলেন, “প্রাণী বিকাশ দপ্তর শুধুমাত্র বেকারত্ব দূর করতে নয়, বরং নতুন উদ্যোগ তৈরি এবং রাজ্যের কৃষি ও পশুপালন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” মিটিং শেষে মন্ত্রী সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন যাতে দ্রুত সময়ে এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হয় এবং যথাযথ পর্যালোচনা ও মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হয়। এদিকে, স্থানীয় যুবকরা সরকারের এই উদ্যোগকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তারা আশা করছেন, এই ধরনের উদ্যোগ তাদের কর্মসংস্থান ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে একটি নতুন দিশা দেখাবে। এই মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রাণী বিকাশ দপ্তরের কর্মকর্তারা একযোগে রাজ্যের কৃষি এবং পশুপালন খাতের উন্নতি সাধনে নতুন দিশা প্রদর্শন করেছেন এবং তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোকে কার্যকরীভাবে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।
সংবাদ পাঠাতে whatsapp করুণ 9436972092।