আগরতলা, ৮ নভেম্বর ২০২৪: ত্রিপুরায় সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে মৎস চাষীদের। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের পুনর্বাসন এবং মাছ চাষের উন্নয়নের জন্য ত্রিপুরা সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রাজ্যের মৎসমন্ত্রী আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস চাষীদের জন্য সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং মাছ চাষে যুবকদের আরো বেশি করে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মন্ত্রী জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের মৎস উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা
হয়েছে। সরকারের মতে, যুবক-যুবতীরা যদি এই খাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে রাজ্যে মাছ চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং মৎস খাতের আয়ও বাড়বে। মন্ত্রী আরও জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে প্রতি বছর মাছের প্রয়োজনীয়তা প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন, তবে রাজ্যটি নিজেই উৎপাদন করতে পারে মাত্র ৮৩ হাজার মেট্রিক টন। বাকি প্রায় ৩০ থেকে ৩২ হাজার মেট্রিক টন মাছের ঘাটতি পূরণ করতে হয় অন্য রাজ্য এবং দেশের বাইরে থেকে। এই মাছ সরবরাহ আসে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কিছুটা বাংলাদেশ থেকেও। বন্যার কারণে ত্রিপুরা রাজ্যের মৎস চাষে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। তবে রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের সহায়তায় আপাতত ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, ‘‘আমরা যুবকদের মাছ চাষে সম্পৃক্ত করতে চাই, যাতে তারা এই খাতে কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে এবং রাজ্যের মৎস উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।’’ এছাড়া, মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে, যাতে রাজ্যের মৎস চাষ খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকদের লাভজনক সুযোগ সৃষ্টি হয়।