
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন ধরেই ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতাল বিভিন্ন কারণে সমালোচনার কেন্দ্রে। স্থানীয় বিধায়িকা থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নিলেও, বাস্তব পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন। চিকিৎসা পরিষেবার বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

শনিবার রাতের ঘটনা নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ, মুমূর্ষু রোগী কিংবা অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে চিকিৎসকের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি নাইট ডিউটিতে নিয়োজিত চিকিৎসকের। এমনকি তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশকেও একজন আসামিকে নিয়ে মেডিকেল চেকআপ করাতে ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করতে হয়েছে।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় যখন ডিউটি শেষ করেও চিকিৎসক ড. সমীর চরণ দেববর্মা বাধ্য হয়ে আবার রোগী দেখতে শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়; প্রায় সময়ই রোগীদের এমন দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়।

এই অব্যবস্থার পেছনে মূল দায়ভার পড়ছে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. রাজা জমাতিয়ার উপর। অভিযোগ, হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে তদারকি না করে তিনি অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন নিজের প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে। ফলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্বে গাফিলতি করলেও কোনো নজরদারি থাকে না।
জনসাধারণের প্রশ্ন—রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি আর বাস্তবের চিত্র কেন এত ভিন্ন? দিনের পর দিন যদি মানুষকে এমন ভোগান্তির শিকার হতে হয়, তবে প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।
