প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস; কৃষিজীবী ও পশুপালকদের ‘বড় সাফল্য’ বললেন দপ্তরের কর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।
কুমারঘাট, ত্রিপুরা । রিপোর্ট- রুকন পালঃ ত্রিপুরা সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে ধলাই জেলার অন্তর্গত রইশ্যাবাড়ি এলাকায় আজ এক গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করে এলাকার মানুষ পেয়েছে একটি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন নবনির্মিত ব্লক ভেটেরিনারি হাসপাতাল, যার আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। স্থানীয় বাসিন্দা, পশুপালক ও কৃষিজীবী মানুষের ভিড়ে প্রাঙ্গণটি ছিল উৎসবমুখর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জেলা সভাধিপতি সুস্মিতা দাস, বিধায়িকা নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং, দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস, সহ আরও বহু নেতৃত্ব, আমন্ত্রিত অতিথি, আধিকারিক এবং স্থানীয় গণ্যমান্যরা। সবাই মিলেই প্রতীকী ফিতা কেটে নতুন ভেটেরিনারি হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন।
মন্ত্রী সুধাংশু দাস তাঁর ভাষণে জানান,
“এই চিকিৎসাকেন্দ্র শুধু একটি ভবন নয়; এটি রইশ্যাবাড়ি এলাকার পশুপালন–নির্ভর অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বহু পরিবার যাদের জীবিকা গবাদি পশু ও দুগ্ধ উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল—তাদের জন্য এটি হবে একটি স্থায়ী আস্থার জায়গা। দ্রুত চিকিৎসা, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং বিশেষজ্ঞ সহায়তা—সবকিছু এক ছাদের নিচে মিলবে।”

তিনি আরও বলেন যে, ত্রিপুরা সরকার গ্রামাঞ্চলে পশু চিকিৎসার পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন এই হাসপাতাল চালু হওয়ায় পশুসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, আর্থিকভাবে লাভবান হবে স্থানীয় কৃষক সমাজ, পাশাপাশি পশু রোগ প্রতিরোধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারাও জানান,
• ব্লক ভেটেরিনারি হাসপাতালটি রইশ্যাবাড়ি ও আশপাশের বহু গ্রামের পশুপালকদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
• ভেটেরিনারি সার্ভিস দ্রুত পৌঁছে দেওয়া, টিকাকরণ ক্যাম্প, প্রজনন পরিষেবা, জরুরি চিকিৎসা—সবকিছু আরও সুসংহতভাবে পরিচালনা করা যাবে।
• নতুন পরিকাঠামো অঞ্চলে পশু-পালনকে উৎসাহিত করবে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে, মন্ত্রী ও অতিথিবর্গ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং এর কাজের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিষেবা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন।
রইশ্যাবাড়িতে নবনির্মিত এই ব্লক ভেটেরিনারি হাসপাতাল খোলার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে উৎসাহ ও সন্তুষ্টির সুর স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।







